মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি আবারও পেছালো। আপিল বিভাগ নতুন করে আগামী ৬ মে শুনানির দিন ধার্য করেছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন।
আদালত আদেশে জানায়, ওইদিন আজহারের আপিল মামলাটি কার্যতালিকার শীর্ষে রাখা হবে।
এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজকের দিন শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছিল। তবে বিভিন্ন জটিলতায় সেটিও সম্ভব হয়নি।
🔍 রিভিউ থেকে আপিল শুনানির অনুমতি – নজিরবিহীন পদক্ষেপ
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি, একটি নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে, আপিল বিভাগ এটিএম আজহারের রিভিউ আবেদনের ভিত্তিতে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দেয়। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলোর মধ্যে এটাই প্রথম, যেখানে রিভিউর পর মূল আপিলের অনুমোদন মিলল।
এতে আসামিপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়।
⚖️ দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রংপুর অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধকালীন ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল—
-
১,২৫৬ জনকে হত্যা/গণহত্যা
-
১৭ জনকে অপহরণ
-
একজন নারীকে ধর্ষণ
-
১৩ জনকে আটক ও নির্যাতন
-
অসংখ্য বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগও এই রায় বহাল রাখে। এরপর ২০২০ সালে আজহার রিভিউ আবেদন করেন।
আজহার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জামায়াতে ইসলামী বরাবরই একে “প্রহসনের রায়” বলে আখ্যা দিয়ে আসছে।
আপিলের তথ্য:
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আজহারের পক্ষে ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিল ও ২,৩৪০ পৃষ্ঠার প্রমাণাদি দাখিল করা হয়।
সামনে কী?
সব চোখ এখন ৬ মে-র দিকে। সেদিন কী হবে? আদৌ কি শুনানি সম্পন্ন হবে, নাকি আবারও পিছিয়ে যাবে বিচারপ্রক্রিয়া?