close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

আবারও অবস্থান কর্মসূচিতে এনটিআরসিএ ভাইভা রেজাল্ট বঞ্চিত প্রার্থীরা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে ভাইভা দেওয়া শিক্ষার্থীরা আবারও রাস্তায়। সনদ দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের প্রতিরোধেও পিছু হটছেন না তারা।..

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) সম্পন্ন করা সত্ত্বেও ফলাফল বঞ্চিত প্রার্থীরা আবারও রাজপথে। দাবি—ভাইভায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সনদ দিতে হবে, নচেৎ আন্দোলন চলবে অনির্দিষ্টকাল। এ দাবিতে সোমবার (২৩ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আবারও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা।

এর আগের দিন, রবিবার (২২ জুন), একই দাবিতে অবস্থান নেওয়া বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেলের আশ্রয় নেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে তার পরদিনই আবার নতুন উদ্যমে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় জড়ো হন শতাধিক শিক্ষার্থী।

প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,রবিবার আমাদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার কথা বলিয়ে দেওয়ার কথা ছিল পুলিশের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তা করেনি। আজকেও তারা আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু আমরা এখনও উপদেষ্টার মুখ দেখতে পাইনি। যতদিন না আমাদের দাবি মানা হবে, ততদিন এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

তিনি আরও জানান,গতকালের হামলায় আমাদের অন্তত চারজন গুরুতর আহত হন। পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলের আঘাতে কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়। আটজনকে আটক করলেও, পরে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

আন্দোলনরত বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের দাবি—যেহেতু তারা ভাইভা দিয়েছেন, এবং পরীক্ষার সবধরনের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, তাই সংবিধানিক ও নৈতিক দিক বিবেচনায় তাদের প্রত্যেককেই সনদ প্রদান করা উচিত। অন্যথায় এই পেশাগত দৌড়ে তারা চিরতরে পিছিয়ে পড়বেন।

এ সময় আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন,আমরা কোনো অনৈতিক দাবি করছি না। আমরা শুধুই চাই, যারা ভাইভা দিয়েছে—তাদের শ্রম ও সময়ের মূল্য দেওয়া হোক। এনটিআরসিএ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না করে আমাদের জীবন ঝুলিয়ে রেখেছে।

এই অবস্থা চলতে থাকলে, আগামী দিনগুলোতে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে ঢাকার বাইরেও একযোগে কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেকে।

অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এনটিআরসিএ কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়—কেউই এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেনি।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বহুদিন আগে অনুষ্ঠিত হলেও এখনো ভাইভা দিয়ে পাশ করা অনেক প্রার্থী চূড়ান্ত সনদ পাননি। বহু আবেদন, বহু প্রতীক্ষা, বহু প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তারা আজকের এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছেন।

অনেকে চাকরির বয়সসীমার কাছাকাছি এসে গেছেন। অনেকেই অন্য চাকরির সুযোগ হাতছাড়া করছেন এই একটি সনদের জন্য। তবুও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও গড়িমসির কারণে সনদ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভ দিন দিন তীব্র হচ্ছে।

সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা। কারণ এই সমস্যা শুধু কয়েকজন প্রার্থীর নয়—এটি দেশের শিক্ষাখাতের ভবিষ্যতের প্রশ্ন।

Keine Kommentare gefunden