close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আবারো হার্ভার্ডের সহায়তা কমা নোর হু ম কি ট্রা ম্পে র, গবেষণার ১ বিলিয়ন ডলার কেটে নেওয়ার হু ম কি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইহুদিবিদ্বেষ ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার গবেষণার জন্য বরাদ্দকৃত অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বাতিলের হুমকি দিয়ে..

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য বরাদ্দকৃত অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার অনুদান কমিয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে সরাসরি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে।

২০ এপ্রিল, এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, চলমান ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে হার্ভার্ড, কলাম্বিয়া এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি তহবিল বাতিল করে দিয়েছে প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের ভাষ্যমতে, এসব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ রোধে ব্যর্থ হয়েছে, যা দেশের নীতির পরিপন্থী।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য বিষয়টিতে নিজেদের স্বাধীন অবস্থান বজায় রাখার পক্ষে রয়ে গেছে। গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্র, শিক্ষক এবং পাঠ্যক্রমে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে আঘাত হানে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এই অবস্থান প্রকাশের পরই ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া আসে বেশ কঠোর ভাষায়। প্রশাসন ঘোষণা দেয়, হার্ভার্ডের জন্য নির্ধারিত ২.৩ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘমেয়াদি অনুদান স্থগিত রাখা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের করমুক্ত সুবিধাও বাতিলের চিন্তা করা হচ্ছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ‘টাস্ক ফোর্স টু কমব্যাট অ্যান্টিসেমিটিজম’ এর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এই চিঠিতে প্রশাসনের বিভিন্ন নীতির প্রতি পরোক্ষ সমালোচনা রয়েছে বলে মনে করে হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

ট্রাম্পের দুইটি ভিন্ন ভাষ্যে তিনি হার্ভার্ডকে ‘একটি প্রহসন’ এবং ‘কলঙ্ক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়টি কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করছে এবং বাস্তবতা থেকে সরে গিয়ে ‘একচোখা’ দৃষ্টিভঙ্গি লালন করছে।

প্রথমদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হার্ভার্ডের প্রতি কিছুটা সহনশীল মনোভাব প্রদর্শনের পরিকল্পনা থাকলেও, এখন স্পষ্টতই অবস্থান বদলে গেছে। কলাম্বিয়ার তুলনায় হার্ভার্ডের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা এর অর্থনৈতিক ও একাডেমিক ভবিষ্যতের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতিগত অবস্থানের ফলে টাস্ক ফোর্স এখন নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য আরও রক্ষণাত্মক অবস্থান নিচ্ছে, যা হার্ভার্ডের স্বাধীন নীতিনির্ধারণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা খাতে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক প্রভাবের একটি নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। একদিকে প্রশাসনের নীতি, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা—এই দুইয়ের সংঘাতে ভুগতে পারে ভবিষ্যতের গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার পথ।

Nema komentara