close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আ. লীগের মেশিনে রাজাকার ঢুকে মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হতো , মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের মেশিন রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানাতো; যারা ভারতের কথায় দেশের শাসন করত তারা প্রকৃত রাজাকার।..

গাইবান্ধায় অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের জেলা কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন এক গুরুত্বপূর্ণ ও সরাসরি অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের মেশিনে এমন একটি প্রক্রিয়া চলত যেখানে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হতো, আবার মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানানো হতো।” তার এই বক্তব্যে উঠে আসে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়নের এক মর্মস্পর্শী চিত্র, যা দেশের জন্য এক বিপজ্জনক পরিস্থিতি।

মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আরও বলেন, “যারা সাড়ে ১৬ বছর ভারতের কথায় দেশের শাসন চালিয়েছে, তারা প্রকৃত অর্থে ভারতের পৃষ্ঠপোষক রাজাকার। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা হলেন আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যতদিন বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ ও সম্মান অব্যাহত থাকবে।”

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) গাইবান্ধা জেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে গাইবান্ধা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের পূর্ব আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমীন সরদার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল করিম সরকার, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও রংপুর অঞ্চল সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, জেলা উপদেষ্টা অধ্যাপক মাজেদুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. সবুর, আব্দুল জলিল তোতা ও আব্দুল লতিফ মন্ডল।

অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে গাইবান্ধা জেলা কমিটির গঠন করা হয়। মো. নুরুল আমীন সরদারকে সভাপতি ও আব্দুস সবুর সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে মোট ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় এবং তাদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এ জাতির গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রদত্ত ত্যাগের মর্যাদা অটুট রাখার জন্য এই ধরনের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যেভাবে রাজনৈতিক দলের মেশিনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, তা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে ছুঁয়ে যাওয়া এক ধরনের কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

এই সভা থেকে স্পষ্ট হলো, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা ও তাদের পরিচিতি সংরক্ষণ এখন সময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ দাবি। দেশের মানুষও এই কথাগুলো গভীরভাবে উপলব্ধি করছেন এবং প্রত্যাশা করছেন, যে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননা কিংবা ইতিহাস বিকৃতি কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ এবং তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যত উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি সকল স্তরে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। গাইবান্ধা জেলার মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার মাধ্যমে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেছেন।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি