সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমা ও অনুশোচনার বিষয় জনগণের সঙ্গে বোঝাপড়া হবে, ক্ষমতা দখলকারীদের কাছে নয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সজীব ওয়াজেদ জয় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগের সব ধরনের ক্ষমা চাওয়া ও অনুশোচনার বিষয় কেবল দেশের জনগণের জন্যই প্রযোজ্য হবে, ক্ষমতা দখলকারীদের জন্য নয়। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফেসবুক পোস্টে জয় লেখেন, “আওয়ামী লীগের যা কিছু ক্ষমা চাওয়া, অনুশোচনা সব জনগণের কাছে। আওয়ামী লীগ এগুলো জনগণের সাথে বোঝাপড়া করবে। কোনো এনজিও থেকে ধরে আনা কিছু লোকজন ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের কাছে নয়।”
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল এবং জনগণের কাছে বারবার ফিরে যাবে।
এর আগে ডয়চে ভেলের ওই প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ৫ আগস্টের ঘটনাকে ঘিরে যদি কোনো ক্ষমা চাওয়া বা অনুশোচনার বিষয় থাকে, তাহলে সেটি দেশের জনগণের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই হবে। স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ হলে তখন বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
ক্ষমা ও অনুশোচনা প্রসঙ্গে আরাফাত বলেন, “গত এক বছরে তারা যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার জন্য কি অনুশোচনা করেছে? ওই সময় (৫ আগস্ট) যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, আমরা তো সব হত্যার বিচার চেয়েছি। স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশনও গঠন করেছিলাম। অথচ যারা আমাদের ক্ষমা চাইতে বলছে, তারাই হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়েছে। যারা ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করেছে, মব সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাদের জবাব কে দেবে?”
ডয়চে ভেলের প্রশ্নে— যদি আওয়ামী লীগের জনভিত্তি থাকত, তাহলে জনগণ তাদের পক্ষে থাকত— জবাবে আরাফাত বলেন, “এর জবাব কিছুদিন পর পাবেন। এখানে জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে যুক্ত করা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির টাকা ঢালা হয়েছে। খুব পরিকল্পিতভাবে লাশ ফেলা হয়েছে, মানুষের মন বিষিয়ে তোলা হয়েছে। এক বছরের মাথায় এসে দেশের বেশিরভাগ মানুষ বুঝতে পেরেছে যে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে।”
আরাফাত দাবি করেন, আওয়ামী লীগ চায়নি আরও রক্তপাত হোক। তাই তারা স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে। তার ভাষায়, “আওয়ামী লীগ চাইলে হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে পারত। কিন্তু আমরা জনগণের দল, তাই সেটা চাইনি।”