close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আ. লীগ নেতা পদত্যাগ করে বললেন, ‘আ. লীগের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই আর কখনো রাজনীতি করবো না..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কামরুজ্জামান কামালের হঠাৎ পদত্যাগ রাজনীতির অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তিনি শুধু পদ ছেড়েই থেমে থাকেননি, জানিয়েছেন—আর কখনো রাজনীতিতে ফি..

গোপালগঞ্জের রাজনৈতিক মঞ্চে এক অভূতপূর্ব মোড় দেখা গেল শনিবার সকালে। মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কামরুজ্জামান কামাল আকস্মিকভাবে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। শুধু পদ থেকে সরে দাঁড়ানো নয়—তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর জীবনে রাজনীতির অধ্যায় এখানেই শেষ।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১১টায় মুকসুদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কামাল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন আমার শরীর আর সেভাবে সাড়া দিচ্ছে না। হৃদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছি। এই অবস্থায় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা সম্ভব নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমি স্বেচ্ছায় মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। আজ থেকে আমি এই দলের কেউ নই, এবং ভবিষ্যতেও আর কখনো রাজনীতি করবো না।”

এই ঘোষণার পরপরই এলাকায় শুরু হয় নানা আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চমক সৃষ্টি করে। অনেকেই মনে করছেন, এই পদত্যাগ শুধু শারীরিক অসুস্থতার কারণে নয়, এর পেছনে থাকতে পারে দলীয় অভ্যন্তরের অসন্তোষ বা দ্বন্দ্বও।

স্থানীয় একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন, কামরুজ্জামান কামাল দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং তৃণমূল পর্যায়ে তাঁর প্রভাব ছিল বেশ দৃঢ়। তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক কর্মী হতাশ এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে আবার তাঁর সাহসিকতাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, কামালের ঘোষণার পর স্থানীয় বাজারেও তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘিরে কিছুটা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পদত্যাগ রাজনৈতিকভাবে একটি বার্তা বহন করে—যেখানে একজন তৃণমূল নেতা নিজের সীমাবদ্ধতা মেনে সরে দাঁড়ান। কিন্তু যেহেতু তিনি বলেই ফেলেছেন, "আর কখনো রাজনীতি করবো না", তা সাধারণ পদত্যাগের বাইরেও একটি শক্ত বার্তা।

রাজনীতির মাঠে এমন ঘোষণা খুব একটা দেখা যায় না, যেখানে কেউ নিজে থেকেই না ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই কামরুজ্জামান কামালের এই পদক্ষেপ শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং দলীয় কাঠামোতেও একটা আলোড়ন তুলেছে বলেই মনে করছেন অনেকে।

শেষ কথা হিসেবে, কামালের বিদায় যেনো আরও কিছু অজানা প্রশ্ন রেখে গেল—এটা কি শুধুই অসুস্থতার ফল, নাকি দলীয় দ্বন্দ্ব, হতাশা বা আদর্শিক দ্বন্দ্বের কোনো বহিঃপ্রকাশ?

Inga kommentarer hittades


News Card Generator