মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হওয়া শিক্ষার্থী নাভিদ নেওয়াজ ৯৭ দিনের দীর্ঘ চিকিৎসায়, ৩৬ বার অস্ত্রপচারের পর জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনার ৯৭ দিনের এক দীর্ঘ লড়াই শেষে হাসপাতাল থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাভিদ নেওয়াজ (১৩)। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দেন।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, নাভিদের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এত গুরুতর আঘাতের পরেও তার বেঁচে থাকার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তাকে সুস্থ হতে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, প্রায় তিন মাস দীর্ঘ চিকিৎসার পর নাভিদের এই বাড়ি ফেরা তার বাবা-মায়ের জন্য যেমন আনন্দের, তেমনি চিকিৎসকদের জন্যও এটি একটি বিরাট সাফল্য।
চিকিৎসা প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে ডা. নাসির উদ্দিন আরও বলেন, দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়ার পর নাভিদের ফুসফুসে পানি জমেছিল। এই জটিলতার কারণে তাকে লাইফ সাপোর্টে উপুড় করে শুইয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।
সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ডা. মারুফুল ইসলাম বলেন, নাভিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরপর দুইবার তার পরিবারকে মানসিকভাবে কঠিনতম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। এই ছোট্ট ছেলেটি মোট ২২ দিন আইসিইউতে ছিল, যার মধ্যে ১০ দিনই ছিল লাইফ সাপোর্টে। এছাড়াও, তাকে ৩৫ দিন হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) এবং ৪০ দিন কেবিনে রাখা হয়।
ডা. মারুফুল ইসলাম আরও জানান, নাভিদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে মোট ৩৬ বার ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে। তার শরীরের ক্ষতস্থানে চামড়া প্রতিস্থাপন হয়েছে ৮ বার। এই ঘটনায় অন্য কোনো দগ্ধ রোগীর এত সার্জারি লাগেনি। এতগুলি সার্জারির পর তার এই ফিরে আসা চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বড় জয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মোট ৫৭ জন ভর্তি হয়েছিল। তাদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩১ জন, বর্তমানে ভর্তি আছে পাঁচ জন এবং মারা গেছে ২৯ জন।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			