ফলে তিনি হলেন দেশের দাবা অঙ্গনে সর্বকনিষ্ঠ নারী হিসেবে এই স্বীকৃতি পাওয়া দাবাড়ু। সোমবার বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন নিশ্চিত করেছে, বিশ্ব দাবা ফেডারেশন (FIDE) থেকে ওয়ারিসার নামের পাশে ক্যান্ডিডেট মাস্টারের খেতাবের আনুষ্ঠানিক সনদ পৌঁছেছে।
পেছনের গল্পটা কিন্তু শুধুই এক বছরের নয়। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ওয়েস্টার্ন এশিয়া ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে বালিকা অনূর্ধ্ব–৮ বিভাগে দুর্দান্ত পারফর্ম করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন ওয়ারিসা। সেই সাফল্যের সুবাদেই তিনি খেতাব অর্জনের যোগ্যতা পান। তবে নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক রেটিং ১৮০০ না হলে খেতাবের সনদ মেলে না।
অবশেষে চলতি বছরের জুলাইতে ওয়ারিসার রেটিং পৌঁছে যায় ১৮০০–তে। আর তাতেই উন্মোচিত হয় খেতাবের দরজা। সাধারণভাবে উইমেন ক্যান্ডিডেট মাস্টার হতে দাবাড়ুকে ২০০০ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করতে হয়। তবে এশিয়ান বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বড় টুর্নামেন্টে প্রথম তিনে থাকলে রেটিং কিছুটা ছাড় দিয়ে ১৮০০–তেও খেতাব পাওয়া যায়। ঠিক সেখানেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন ওয়ারিসা হায়দার।
দাবা বোর্ডে তার গতি আর বোঝাপড়া দেখে অনেকেই বলছেন, ‘এই মেয়ে একদিন গ্র্যান্ডমাস্টার হবে।’ এখনো অনেক পথ বাকি, কিন্তু শুরুটা যে দুর্দান্ত হয়েছে, তা নিয়ে কারও দ্বিমত নেই।