close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

৮ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি, জেলেদের আনন্দের বন্যা!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রতিটি উৎসবের মৌসুম এলেই বাস মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফন্দি আঁটেন। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি না দিলে যাত্রীদের জন্য বাসের আসন নিশ্চিত হয় না। এতে সাধার
প্রতিটি উৎসবের মৌসুম এলেই বাস মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফন্দি আঁটেন। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি না দিলে যাত্রীদের জন্য বাসের আসন নিশ্চিত হয় না। এতে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। এই ভোগান্তি লাঘবে টাঙ্গাইলের মধুপুরের আনারস চত্বর বাস টার্মিনালে এক সাহসী অভিযান চালান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের প্রচেষ্টায় যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা বাড়তি ভাড়া ফেরত দিতে বাধ্য হয় বাসচালকরা। গভীর রাতে অভিযানে নামলেন ছাত্ররা বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই অভিযান চালান আন্দোলনের নেতারা। সাপ্তাহিক ছুটি ও শবেবরাত উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ আসার পরই তাঁরা সক্রিয় হন। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে যাত্রীরা অভিযোগ করেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২০০-৫০০ টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে। এরপরই শিক্ষার্থীরা বাসচালক ও কর্মচারীদের জবাবদিহির মুখে ফেলেন এবং যাত্রীদের বাড়তি নেওয়া ভাড়া ফেরত দিতে বাধ্য করেন। ছাত্রদের নেতৃত্বে সফল অভিযান এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন মধুপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সোহানুর রহমান, সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসান মৃদুল, মো. সবুজ মিয়া, একরামুল খান অনিক, মাজহারুল ইসলাম, জিয়াদ হাসান জিম, টিএ নাইম ও খাইরুল ইসলাম প্রমুখ। বাস মালিকদের অনিয়মের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ছাত্রনেতা সোহানুর রহমান বলেন, "আমরা দেখেছি, টিকিটপ্রতি ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা একের পর এক বাস থামিয়ে যাত্রীদের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করেছি। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অনিয়ম হলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।" জাতীয় নাগরিক কমিটির মধুপুর শাখার সদস্য মো. সবুজ মিয়া বলেন, "ঢাকা থেকে জামালপুর ও মাদারগঞ্জগামী বাসগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছিল। আমরা রাত ৮টা থেকে অভিযান চালিয়ে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া ফেরত দিয়েছি।" যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া এই অভিযানের ফলে যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। অনেকেই বলেন, এই ধরনের অভিযানের ফলে বাস মালিক ও চালকদের অন্যায় আচরণ বন্ধ হতে পারে। এখন কী হবে? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, যদি ভবিষ্যতে কোনো বাস কর্তৃপক্ষ এভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করে, তবে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা প্রশাসনকেও অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই অভিযান প্রমাণ করল, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে জনগণ ন্যায়বিচার পেতে পারে। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
没有找到评论