জামায়াতে ইসলামী নেতা ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সমাবেশেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এত পরিপূর্ণ হয়নি যতটা জামায়াতের সাম্প্রতিক সমাবেশে হয়েছিল। তিনি নির্বাচন ও রাজনৈতিক আন্দোলনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
শুক্রবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তার বক্তব্যে তিনি ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিড় এবং সম্প্রতি জামায়াতের সমাবেশের ভিড়ের তুলনা করেন।
ড. তাহের বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সৃষ্টির পর থেকে এত বড় সমাবেশ এই মাঠে আর কখনো হয়নি। আইয়ুব খানের সমাবেশও এই মাঠের পুরো বাউন্ডারি পর্যন্ত মানুষ ভর্তি করতে পারেনি। ৭ মার্চের ভাষণের সময়ও এই উদ্যান এত পরিপূর্ণ হয়নি। কিন্তু জামায়াতের সর্বশেষ সমাবেশে শুধু উদ্যান নয়, রমনা পার্ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত জায়গা, টিএসসি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চত্বরে এবং তারপরে আরও অনেক দূর পর্যন্ত মানুষ ছড়িয়ে ছিল।”
তিনি আরও যোগ করেন, “মাছ যেমন পানিতে থাকে, জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা আন্দোলনের মধ্যে পানির মতো অবস্থান করে। আমরা নির্বাচনের কথা বলি, সংস্কারের কথা বলি, তখন কিছু মানুষ এটাকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে। আবার যারা হাসিনামার্কা নির্বাচন চায়, সেটা কি নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়?”
ড. তাহের একটি শক্তিশালী হুঁশিয়ারিও দেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতায় আসার সুযোগ আর দেওয়া হবে না। বিচারবিহীন নির্বাচন হবে না, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন হবে না। যারা নির্বাচন চায়, তাদের এই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বাধা দেওয়া উচিত হবে না।”
অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগুন এখনও মানুষের মধ্যে প্রজ্বলিত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এজন্যই ঠুস করার কথা বললে মানুষ বত্রিশ নম্বরে হাজির হয়। রাত তিনটায় পরীক্ষা পেছানোর দাবি করলেই ছাত্ররা সচিবালয়ের গেট ভেঙে দেয়। এই উদ্দীপনা আগামী ছয় মাসে নির্বাপিত হবে, এটা যারা ভাবছেন তারা ভুল করছেন।”
ড. তাহেরের এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে, জামায়াতে ইসলামী দল সক্রিয় ও জনমত সংগ্রহে তৎপর। তিনি নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু পরিবেশ এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে ক্ষমতায় যাওয়ার গুরুত্ব পুনর্বার জোর দেন।