গণতান্ত্রিক উত্তরণের ডাক দিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি আগামী ৫ আগস্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। সুষ্ঠু পরিবেশের অজুহাতে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানালেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরের বিপ্লব উদ্যানে চট্টগ্রাম জেলা গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানেই তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এখন সবচেয়ে বড় জাতীয় স্বার্থ। এই প্রেক্ষিতে তিনি আগামী ৫ আগস্টের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানান।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে হবে। আমরা আর কালক্ষেপণ চাই না। জনগণ অপেক্ষায় আছে গণতন্ত্রে ফেরার। এখন আর পিছিয়ে পড়ার সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে ‘সুষ্ঠু পরিবেশ নেই’ এই অজুহাতে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রে সায় দিই না। নির্বাচন আয়োজনের জন্য অনুকূল পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া চলবে না।”
তার মতে, কেউ যদি রাষ্ট্রীয় দখলদারিত্ব ধরে রাখতে চায়, তবে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। “বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। যদি তারা ভোট দিয়ে আবার আগের কাউকে নির্বাচিত করে, সেটাই গণতন্ত্রের রায়। আপনি একা ঠিক করে দিতে পারেন না কে ক্ষমতায় থাকবে। পাবলিক সব বোঝে, আপনি সবচেয়ে ভালো জানেন—এই অহংকার দিয়ে জনগণকে হেয় করবেন না,”—বলেছেন তিনি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি। সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম-নির্বাহী সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন তালুকদার।
এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আতিকুর রহমান এবং গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. হারুন।
সমাবেশে বক্তারা এক কণ্ঠে দাবি জানান, দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের গোপন ও প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
তারা বলেন, “এই নির্বাচন হবে গণমানুষের, দখলদারদের নয়। তাই তারিখ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে, আর জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”