৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়া ২৬৭ জন প্রার্থী সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রথম প্রজ্ঞাপনে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে হঠাৎ বাদ পড়ার কারণ জানতে মরিয়া তাঁরা। প্রার্থীদের দাবি, প্রজ্ঞাপনে দ্রুত তাঁদের পুনঃঅন্তর্ভুক্তি করতে হবে।
আজ (বুধবার) বাদ পড়া প্রার্থীরা সচিবালয়ের সামনে জড়ো হয়ে তাঁদের ন্যায়বিচারের দাবিতে অবস্থান নেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন, "টিউশনি করে পড়াশোনা চালিয়ে পিএসসির সুপারিশ পেয়েছি। যখন নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিলাম, তখনই দেখলাম আমাদের নাম গেজেটে নেই। মন্ত্রণালয় আমাদের বাদ দেওয়ার কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।"
আরেকজন বলেন, "নতুন চাকরিতে ঢোকার আগেই বৈষম্যের শিকার হলাম। আমাদের সঙ্গে অন্যরা যোগ দেবে, আর আমরা চোখের পানি মুছব—এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা দ্রুত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্তি চাই।"
গত ১৫ অক্টোবরের প্রথম প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ৩০ ডিসেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেখানে ১,৮৯৬ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়, কিন্তু বাদ পড়েন ২৬৭ জন। সুপারিশপ্রাপ্ত মোট ২,১৬৩ জনের মধ্যে শুরুতে ৯৯ জন বাদ পড়েন এবং নতুন প্রজ্ঞাপনে আরও ১৬৮ জনকে বাদ দেওয়া হয়।
এর আগে বিভিন্ন বিসিএসে এমন বাদ পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ৪১তম বিসিএসে বাদ পড়েন ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএসে ৩৪ জন, এবং ৩৭তম থেকে ৬১ জন। প্রার্থীরা দাবি করছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই বিক্ষোভের মাধ্যমে বাদ পড়া প্রার্থীরা ন্যায্য অধিকার আদায়ে একযোগে কাজ করছেন এবং সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে সবার নজর রয়েছে।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি



















