৩০০ ড্রোন একসঙ্গে ঢুকে পড়ল ভারতীয় আকাশসীমায়: পাকিস্তানকে ঘিরে চাঞ্চল্য, উঠে এলো তুরস্কের নামও!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর রাতারাতি ভয়ংকর ড্রোন আক্রমণ! পাকিস্তান কি সরাসরি যুদ্ধের মাঠে নামছে? তুরস্কের ড্রোন, ৩৬টি শহর, ধ্বংস হওয়া ৭০টির বেশি ড্রোন, আর পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত উপমহাদেশ।..

এক নজরে রোমহর্ষক সেই রাত: পাকিস্তানের ড্রোন আক্রমণে কাঁপল ভারত!

ভারতের সামরিক ইতিহাসে অন্যতম ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে। একযোগে ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্নেল কুরেশি জানান, জম্মু, রাজস্থান, পাঞ্জাব ও পাঠানকোটসহ অন্তত ৩৬টি শহর বা সামরিক ঘাঁটি ছিল এই ড্রোন হানার লক্ষ্য। এই হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলো তুরস্কে তৈরি বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, “আমরা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ৫০টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছি। পাশাপাশি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামার ব্যবহার করে আরও ২০টি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।”

 ক্যামেরা লাগানো ড্রোন! পরীক্ষা না পূর্বাভাস?

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, বেশিরভাগ ড্রোন ছিল নিরস্ত্র, তবে সেগুলোর অনেকগুলোতেই উন্নতমানের নজরদারি ক্যামেরা ছিল। এই ড্রোনগুলো ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেমন কাজ করে—তা পর্যবেক্ষণ করাই ছিল পাকিস্তানের উদ্দেশ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।

"এটা সরাসরি কোনো যুদ্ধঘোষণা নয়, বরং একধরনের সামরিক পরিসরের পরীক্ষা, কিংবা এক ধরনের সতর্কবার্তা।"—এমন মন্তব্য করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও।

 পাকিস্তানের অস্বীকার, তবে ভারত জানায়, সব প্রমাণ হাতে

অন্যদিকে, পাকিস্তান এই হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা কোনো ড্রোন হামলা চালাইনি। ভারত ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।”

তবে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ড্রোনগুলোর উত্‍‌স, নির্মাণ কোম্পানি এবং রুটিং ডেটা সবই বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ভারতের মতে, তুরস্ক-নির্মিত ড্রোন পাকিস্তানের মাটিতে থেকেই চালানো হয়েছে।

 পাল্টা অভিযোগে পাকিস্তানের দাবি: ভারত চালাচ্ছে ইসরাইলি 'হ্যারপ' ড্রোন!

এই উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান নতুন অভিযোগ এনেছে ভারতের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, ভারত ইসরায়েলের তৈরি ‘হ্যারপ ড্রোন’ ব্যবহার করে পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এখন পর্যন্ত ২৫টি হ্যারপ ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলেও দাবি করা হয়।

হ্যারপ ড্রোন কী?

ইসরায়েলের এই ড্রোন একটি ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ বা 'loitering munition'। এটি আকাশে দীর্ঘক্ষণ চক্কর দিয়ে শত্রুর রাডার, কমিউনিকেশন টাওয়ার, কিংবা স্থির সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করে সেখানে আঘাত হানে ও নিজেই বিস্ফোরিত হয়।

এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিংবা রিমোট কন্ট্রোলে পরিচালনা করা যায়, এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে নজরদারি ও হামলার সক্ষমতা রাখে।

 উত্তেজনায় জড়াচ্ছে তৃতীয় পক্ষ?

এই হামলার ঘটনায় তুরস্কের জড়িত থাকার ইঙ্গিত এবং ইসরায়েলের প্রযুক্তির ব্যবহারে গোটা উপমহাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নয়, বরং বৃহৎ ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পূর্বাভাস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন

“এই ড্রোন যুদ্ধ উপমহাদেশে একটি নতুন যুদ্ধবাজারের দ্বার উন্মুক্ত করেছে, যেখানে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ ছাড়াই প্রযুক্তি-নির্ভর যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।”


যুদ্ধ নয়, তবে অঘোষিত শক্তিমত্তার লড়াই?

যদিও এখনো কোনো পক্ষই সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেনি, তবে ড্রোন ব্যবহার করে এমন বড় আকারে নজরদারি ও সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম স্পষ্টতই আঞ্চলিক অস্থিরতা বাড়াবে

বিশ্বের নজর এখন উপমহাদেশের আকাশে, যেখানে প্রতিটি ড্রোন যেন একেকটি বারুদের স্ফুলিঙ্গ।

कोई टिप्पणी नहीं मिली