close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

৩ মাসে দুইবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখলের চেষ্টা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
The long-abandoned Awami League central office in Gulistan is turning into a mystery. Two occupation attempts in three months, unknown banners, and no official response spark serious public curiosity.

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয় যেন এখন রহস্যময় কেন্দ্র! ৩ মাসে দুইবার দখলের চেষ্টা, প্রশাসনের অজ্ঞতা আর অদ্ভুত ব্যানার—সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রশ্নের ঝড়।

রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি গত এক বছর ধরে বন্ধ ও কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে গত তিন মাসে এই ১০ তলা ভবনটিকে দুইবার দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি এখন ভবনের ভেতরে চলছে পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার কাজ, অথচ প্রশাসন জানে না—কারা এ কাজ করছে, কেন করছে।

সূত্র জানায়, ২৪ জুলাই বুধবার থেকে ভবনের প্রবেশপথে ঝুলছে একটি নতুন ব্যানার—"আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট" নামের। পুরো ব্যানারটি লাল কাপড়ে সাঁটানো। কেউ এই নামের সঙ্গে পরিচিত নয়, এমনকি যারা কাজ করছে, তারাও নিজেদের পরিচয় দিতে রাজি নয়।

তার আগে গত ১৪ মে থেকে আরেকটি ব্যানার ঝুলেছিল—"জুলাই যোদ্ধাদের প্রধান কার্যালয়" নামে। দীর্ঘদিন ঝুললেও তখনও কোনো সংগঠনের উপস্থিতি ছিল না। শুধু এই নয়, একই ধরনের ব্যানার দেশের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দেখা গেছে। ফলে অনেকেই সন্দেহ করছেন, এটি সুপরিকল্পিত কোনো রাজনৈতিক কৌশল কিংবা ক্ষমতার পরীক্ষা হতে পারে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের প্রবেশপথে ব্যানার ঝুলছে এবং ভেতরে ওয়াসার একটি দল জমে থাকা নোংরা পানি সেচে দিচ্ছে। শ্রমিকরা বলছেন, তাঁরা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ভবনটি পরিষ্কার করে ফেলবেন।

মাতবর আলী নামে এক শ্রমিক বলেন, “আমরা ২৪ জুলাই থেকে কাজ শুরু করেছি। অফিসটি কী হবে জানি না, তবে ব্যানারে যা লেখা আছে সেটিই হবে অফিস।

কার্যালয়ের উল্টো পাশে দেশি ফলমূল বিক্রি করেন হাসান তালুকদার। তিনি বলেন, এক বছরে ভবনটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল। ভাসমান লোকজন এখানে মল-মূত্র ত্যাগ করতো। ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এখন অন্তত পরিষ্কার হচ্ছে।

মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হুসাইন মুহাম্মদ ফারাবী স্পষ্ট করে জানান, “সংস্কার বা দখলের বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। কেউ নির্দেশনা দিলে কাজ করবো, কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি।

১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসা এই ভবনটি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সরকার থেকে ইজারা নেওয়া আট কাঠা জমির উপর নির্মিত। ২০১৬ সালে পুরনো ভবনটি ভেঙে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ১০তলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ২০২৩ সালের ৫ আগস্টের পর ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই নানা গুজব, ব্যানার, এবং দখল নাটক ঘিরে ভবনটি আবারও আলোচনায়।

যারা দখল করছে, তাদের পরিচয় নেই। প্রশাসনের কাছে কোনো নথি নেই। ভবনের মধ্যে চলছে কাজ, বাইরে প্রশাসন নির্বাক। এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতি সচেতন জনমনে। ভবিষ্যতে এই ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কি রাজনৈতিক সংঘাত তৈরি হবে? না কি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও বড় কোনো পরিকল্পনা?

Geen reacties gevonden