২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২৯৪

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৯৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তবে এই সময় কেউ মারা যাননি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।..

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি শংকাজনক রূপ ধারন করেছে। সাম্প্রতিক ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৯৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও গত একদিনে কারও মৃত্যু হয়নি, এই খবরটিই যে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দিয়েছে, তা বলাই যায়। শনিবার (৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ১২৬ জন রোগী নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা দেশের অন্যান্য বিভাগের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। রাজধানী ঢাকায় ৭৯ জন, রাজশাহী বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরে ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জন এবং ঢাকা বিভাগের অন্য অংশে ২৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য একটি বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে দাড়িয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯৫৪ জন, যার মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৪৫। মৃত্যুর মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত সতর্কতা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হলেও, ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু বয়েলের নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ছাড়া এই রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব নয়।

সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। রোগীরা দ্রুত হাসপাতালে যোগাযোগ করছে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা মশার কামড়ে ছড়ায়। তাই প্রতিরোধের জন্য বাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। পানি জমে থাকা ঠেকানো, মশার আক্রমণ রোধে ব্যবহৃত বারকিউট এবং সুতির জামা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও দায়িত্ব রয়েছে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে। পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

উল্লেখ্য, গত বছরও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক ছিল, কিন্তু সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে মৃত্যুর হার কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছিল। এই বছরেও একইভাবে সচেতনতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

ডেঙ্গুর প্রকোপ যাতে আরও বেশি না বৃদ্ধি পায়, সে জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিদিন নতুন তথ্য আপডেট করে জনগণকে সচেতন করে চলেছে।

আশা করা হচ্ছে, জনসচেতনতা ও সরকারের তৎপরতায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং আগামী দিনে এই রোগজনিত ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

Inga kommentarer hittades