আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। মাত্র ১৫ টাকায় ৫৫ লাখ পরিবার পাবে ৩০ কেজি করে চাল, চলবে টানা ৬ মাস।
সরকারের উদ্যোগে আবারও চালু হচ্ছে বহুল আলোচিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, যার আওতায় দেশের ৫৫ লাখ নিম্নআয়ের পরিবার প্রতি কেজি চাল কিনতে পারবে মাত্র ১৫ টাকায়। এ কর্মসূচি শুরু হবে চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে এবং চলবে টানা ৬ মাস।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী আগস্ট মাস থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পুনরায় চালু হচ্ছে। এবার আমরা ৫৫ লাখ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেবো, প্রতি কেজি মাত্র ১৫ টাকায়।’
এ কর্মসূচির লক্ষ্য— অসহায় ও দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে চালের দাম সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বড় একটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এই সময়টাতে। এই প্রেক্ষাপটে সরকার যে পুনরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছে, তা প্রশংসাযোগ্য বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “চাল এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা অতিরিক্ত ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে বাজারে চাপ কমবে এবং সাধারণ মানুষ সহজেই চাল পাবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার সময়োপযোগী এই সিদ্ধান্ত না নিলে নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারত। তবে শুধু চাল সরবরাহ নয়, যথাযথ বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও হবে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং খাদ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন মহল।
চলতি বছর বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশেও চালের দাম বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে দরিদ্র ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকে ‘উপযুক্ত সময়ের সাহসী পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রথম চালু হয়েছিল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। সেই সময়েও এটি প্রশংসিত হয়েছিল এবং লাখো পরিবার উপকৃত হয়েছিল। এবারের কর্মসূচি নতুন করে দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবনে স্বস্তি আনবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।