আরও চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও এখন বৈভবের দখলে।
রশিদ খানের ওপর ঝড়, মাত্র ৩৫ বলে শতরান!
গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমে বৈভব দেখালেন সাহস আর দৃঢ়তা। রশিদ খানের বলে বিশাল ছক্কা মেরে মাত্র ৩৫ বলে শতরান পূর্ণ করলেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম শতক—শুধু কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের ৩০ বলে সেঞ্চুরির পরে।
শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ১০১ রানে বোল্ড হন এই বিস্ময় বালক। তার ইনিংসে ছিল ঝলমলে ৭টি চার ও ১১টি ছয়!
প্রথম ম্যাচেই চমক, এখন পূর্ণ বিস্ফোরণ!
এপ্রিলের শুরুতেই আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হয়েছিল বৈভবের। তখনই নিজের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে জানান দেন যে তিনি বিশেষ কিছু করতে এসেছেন।
এবার সেই একই জয়পুরের মঞ্চে পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করে জয় এনে দিলেন দলকে। যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ১৬৬ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে রাজস্থান রয়্যালসকে মাত্র ১১তম ওভারেই জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। যশস্বী অপরাজিত থাকেন ৪০ বলে ৭০ রানে।
গুজরাটের 209 রানও বাঁচাতে পারল না
এর আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটান্স সংগ্রহ করেছিল ২০৯ রান। শুভমান গিল ঝকঝকে ৫০ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, আর জস বাটলার অপরাজিত ফিফটি করেছিলেন। তবে সূর্যবংশীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এই জয়ে রাজস্থান রয়্যালস টানা পাঁচ ম্যাচের পরাজয়ের স্টপারে দাঁড়ায় এবং প্লে-অফের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখে। অন্যদিকে গুজরাট টাইটান্স নেমে যায় টেবিলের তৃতীয় স্থানে।
কে এই বৈভব সূর্যবংশী?
বৈভব সূর্যবংশী ক্রিকেট দুনিয়ায় পরিচিত হয়েছিলেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে, যখন অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে যুব টেস্টে মাত্র ৫৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান। এরপর তিনি ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নেন, সেখানে ৪৪ গড় নিয়ে ১৭৬ রান করেন।
পূর্ব ভারতের বিহারের প্রতিনিধি এই তরুণ মাত্র ১২ বছর বয়সেই রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক করেন। ইতিমধ্যে ৫টি রঞ্জি ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, যেখানে সর্বোচ্চ স্কোর ৪১ রান।
নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এই মুহূর্তে তার চেয়ে ক্ষুধার্ত আর কেউ নেই—এটাই বৈভব সূর্যবংশীকে আলাদা করে দিচ্ছে।