- 0
- 0
হোয়াটসএ্যাপের জায়গায় ইমো

সোশাল মিডিয়ার নতুন সংযোজন বিপ, নির্মাতা তুরস্ক সোশাল মিডিয়ার জগতে তুরস্কের আরো একধাপ অগ্রগতি হলো। এটা একটি ইতিবাচক নিউজ আমাদের জন্য। আমরা যেভাবে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন আবিস্কারের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছিলাম, তা গোটা মুসলমানদের জন্যই ছিল এক ধরণের ঝুঁকি। বর্তমানে খুবই প্রসিদ্ধ সোশাল মিডিয়ার এ্যাপসগুলোর অধিকাংশই হয় ইহুদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, না হয় পশ্চিমা এমন শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যারা চরমভাবে মুসলিম বিদ্বেষ অন্তরে লালন করে। এটা দেখে তুরস্ক তাদের ভবিষ্যত ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য গড়ে তুলেছে নিজস্ব যোগাযোগ এ্যাপ, বিপ এ্যাপস।
এখন আর অন্ধভাবে হোয়াটসএ্যাপ বা ইমোর এর প্রতি নির্ভরশীল হওয়ার দরকার নেই। তুর্কি রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান এই বিপ এ্যাপসটি ব্যবহার শুরু করছেন আনুষ্ঠানিকভাবে । বয়কট করেছেন হোয়াটসএ্যাপ। মুসলিম বিশ্বকে এই এ্যাপ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই এ্যাপ মুসলমানদের তথ্য গোপন রাখবে। এছাড়া ইমুতে অশ্লীল বিজ্ঞাপন আর নিরাপত্তাহীনতার কারণে বয়কট করার সময় হয়েছে। সবাইকে এই এ্যাপসটি ব্যবহার করার আহবান জানাচ্ছি।
তুরস্ক কেন হোয়াটস অ্যাপ বাদ দিয়ে বিপ ব্যবহার করছে বিশ্লেষণ? তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নির্দেশে মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাপ হোয়াটস অ্যাপ তুরস্কের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে! সেইসাথে হোয়াটস অ্যাপের বদলি তুর্কী নাগরিকদের পাশাপাশি সমগ্ৰ বিশ্বের মুসলিমদের তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তুর্কসেলের অ্যাপ বিআইপি ব্যবহারের অনুরোধ করেছে তুরস্ক!
ব্যান করার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে বেশী উৎসাহী হলো টুইটার! টুইটার আনুমানিক একমাস আগে থেকেই স্ট্রাম্পকে অঘোষিত নিষিদ্ধতা দিয়ে রেখেছিলো! যেহেতু এসব প্রতিষ্ঠান খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কথা না শোনে অজানা এক ডার্ক এনার্জির কথা শুনে ঐ ডার্ক এনার্জিকেই আসল মালিক মনে করে খোদ প্রেসিডেন্টকেই গৃহবন্দী করে ফেলছে! ফলে যুদ্ধ বা ভয়াবহ মূহূর্তে আশংকা আছে ঐ ডাক এনার্জির মালিকানাধীন এসব যোগাযোগ মাধ্যম তুরস্কের বিরুদ্ধে কাজ করবে! সেইসাথে জরুরি মূহূর্তে অথবা গোপনীয় বার্তা আধান প্রধানের মূহূর্তে হয় তা ফাঁস করে দিবে নতুবা পুরো একাউন্ট নষ্ট করে দিবে!
এই ভয় থেকে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এরদোগান মূলত মার্কিন যোগাযোগ মাধ্যমের বিকল্প তৈরী করতে চাইছে। যাতে বিপদ বা জরুরী মূহূর্তে কোনো সমস্যায় তুরস্ককে পড়তে নাহয়! আমি মনে করি তুরস্ক ছোটোখাটো দিয়ে সবে শুরু করেছে, যদি বিপ সফল হয়, তাহলে আস্তে আস্তে গুগল, ফেসবুকের বিপরীত প্ল্যাটফর্মগুলোও তুরস্ক তৈরী করবে। তুরস্কের এই কাজে মার্কিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ক্ষতি হলেও, লাভবান হবে তুরস্ক ও মুসলিম বিশ্ব!