মিসেস রওশন আরা রত্নগর্ভা মা ২০২২ চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত
মিসেস রওশন আরা রত্নগর্ভা মা ২০২২ চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার বড়ালী গ্রামের মরহুম মো: আবুল হোসেন সাবেক বিডিআর, বর্তমান বর্ডার গাড বাংলাদেশ বিজিবি’র সাবেক হিসাব রক্ষক এর স্ত্রী ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বড়ালী গ্রামের বিশিষ্ট্য মেডিসিন ও হৃদরোগ চিকিৎসক ডা. মো: জহিরুল ইসলাম এর গর্ভধারিনী মা মিসেস রওশন আরা রত্নগর্ভা মা ২০২২ চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজাদ প্রোডাক্টস ‘র রত্নগর্ভা মা ’ আগামী ১৪মে বিশ্ব মা দিবসে ঢাকা ক্লাব লি: এর স্যামসন এইচ চৌধুরি সেন্টারে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের মানণীয় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী( এমপি) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ছেলে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট এর সহকারি সার্জন ডা: মো জহিরুল ইসলাম।
মিসেস রওশন আরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার কড়ৈতলী গ্রামের জনাব শরাফত আলী খাঁ ও বদরুন্নেসা দম্পতির অষ্টম সন্তান ১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহন করেন। তৎকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপটে অদম্যস্পৃহা থাকা সত্তে¡ও মেধাবী এই মা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা চলাকালীন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বড়ালী গ্রামের সম্ভান্ত মো: কলি মিয়া মিয়াজী ও অজুফা খাতুনের দম্পতির ছোট ছেলে বিজিবি এর সাবেক হিসাব রক্ষক মো: আবুল হোসেন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিশোরী এই পৃত্রবধু স্বপ্ন দেখতেন নিজের সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে দেশ ও জাতীর জন্য অবদান রাখবেন। একজনের সীমিত আয়ের সংসার , যৌথ সংসার, শ্বশুর -শ্বাশুড়ি সব কিছুকে সামলিয়ে একক নৈপুন্যে পরম মমতায় সন্তানদের বড় করে তুলেছেন। এই দম্পতি ন্যায়নিষ্ঠ ও সততার সাথে কখনও আপোষ করেননি। মা তোমায় সালাম।
পাঁচ সন্তানদের সবাইকে উচ্চ-শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
এই মহীয়সী রত্নগর্ভা মার পাঁচ সন্তানের প্রথম সন্তান মোহাম্মদ: রফিকুল ইসলাম, বিএসসি, এমএসসি ( ভুগোল ও পরিবেশ বিদ্যা) রাজশাহী বিশ্বিবিদ্যালয়।
বর্তমানে তিনি বিশ্বের অন্যতম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমাজন লজিসটিকস, জার্মানীতে কর্মরত।
দ্বিতীয় সন্তান : শামছুন্নাহার, বিএসসি, এমএসসি ( ভুগোল ও পরিবেশ বিদ্যা) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও এমপিএস ( মাসষ্টার্স এব পুলিশ সায়েন্স) রাজশাহী। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুলিশ হেডকোর্য়াটার্স এবং বর্তমানে জাতীসংঘ মিশনে কঙ্গোতে কর্মরত আছেন।
তৃতীয় সন্তান: মো: শফিকুল ইসলাম, বিএসসি (জুওলজি), এমএসসি জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয়। এমএসসি ( Evo Biology) পিএইচডি ( Genomics- Final Defence in Process ) মিউনিথ বিশ্ববিদ্যালয় , জার্মানি।
সায়েন্টিফিক প্রজেক্ট ম্যানেজার, মাক্স প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউট, জার্মানি। ও সিইও – ওয়াইল্ডমেন্টর বাংলাদেশ এ কর্মরত।
চতুর্থ সন্তান : নুরজাহান বেগম, বিএ, এমএ, ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি।
তিনি উদ্যোক্তা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ ও বিভিন্ন নারী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জড়িত।
পঞ্চম সন্তান : ডা. মো: জহিরুল ইসলাম, এমবিবিএস,এফসিপিএস ( মেডিসিন শেষ পর্ব ) এমডি কার্ডিওলজি ( কোর্স) এফআরসিএস ।
এসিসট্যান্ট সার্জন, ডিজিএইচএস, মিনিষ্টি অব হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ঢাকা।
‘ আমার মা আমার ভালোবাসা’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে ২০০৩ সাল থেকে আজাদ প্রেডাক্টস রতœগর্ভা মায়েদের সম্মাননা জানিয়ে আসছে। এবছর দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বানী দিয়েছেন। নিজের মা রতœগর্ভা পুরস্কারে ভূষিত হবেন জেনে মায়ের সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আত্বীয় স্বজন, প্রতিবেশি ও দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়েছেন পরিবার বর্গ। মা তোমায় সালাম ।