শেরপুরের নকলায় ডাকাতি হওয়া ২০ ড্রাম সয়াবিন তেল উদ্ধার, জাপা নেতা গ্রেপ্তার
শেরপুরের নকলায় ২০ ড্রাম চোরাই সয়াবিন তেল কেনার অভিযোগে ওয়ালিউল্লাহ (৪৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওয়ালিউল্লাহ নকলার উমামা ওয়েল মিলের মালিক। এ সময় আরও ৪০টি খালি ড্রাম উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত ওয়ালিউল্লাহ নকলা শহরের আব্দুল খালেকের ছেলে এবং নকলা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক।
নকলা থানা পুলিশের সহায়তায় নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল বুধবার (২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার জালালপুর এলাকায় উমামা ওয়েল মিলে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করে। এসময় শহরের উত্তর বাজার এলাকা থেকে ওই মিল মালিককে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৯ জানুয়ারি রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মিরাপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার পুত্র মশিউর রহমান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মোরাপাড়ার গঙ্গানগরের গ্লোবাল ইডিবেল ওয়েল মিল থেকে ৬০ ড্রাম সয়াবিন তেল কিনেন। পরে ওই তেল ট্রাকযোগে কিশোরগঞ্জে নেয়ার পথে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা নামক স্থানে পৌঁছানো মাত্র ডাকাত দল একটি সাদা মাইক্রোবাস নিয়ে কথিত র্যাবের কটি পরিহিত সিগন্যাল লাইট দিয়ে ট্রাকটির গতি রোধ করে। এক পর্যায়ে ট্রাক, চালক ও হেলপারকে ডাকাত দলটি তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। পরে কিশোরগঞ্জের নান্দাইল হয়ে শেরপুরের নকলায় এসে উমামা ওয়েল মিলের মালিক ওয়ালি উল্ল্যাহর নিকট ওই তেল বিক্রি করে। পরবর্তীতে চালক ও হেলপারকে নেশাজাতদ্রব্য খাইয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় খালি ট্রাক সহ রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়।
এ ঘটনায় ওই তেলের মালিক মশিউর রহমান ১১ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর শিবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে নকলা থানা পুলিশের সহায়তায় নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নকলার জালালপুর এলাকায় উমামা ওয়েল মিলে অভিযান চালিয়ে ২০ ড্রাম চোরাই সয়াবিন তেল ও খালি অবস্থায় ৪০টি ড্রাম উদ্ধার করে। পরে শহরের উত্তর বাজার এলাকা থেকে মিল মালিক ওয়ালিউল্লাহকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।