Jakirul Islam - (Gazipur)
প্রকাশ ০৩/০৩/২০২২ ০১:৪২পি এম

আদালতের রায় ডিক্রী না মানায় ঝিকরগাছায় একটি পরিবার নির্যাতিত

আদালতের রায় ডিক্রী না মানায় ঝিকরগাছায় একটি পরিবার নির্যাতিত
আদালতের রায় ডিগ্রী না মানায় যশোরের ঝিকরগাছার একটি পরিবার ক্রমাগতই নির্যাতিত স্বিকার হচ্ছে বলে একধিক অভিযোগ তুলে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে শহিদুল ইসলাম পল্লব (৩৯)। তিনি উপজেলার ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে সোহরাব হোসেন ছেলে। সে স্থানীয় ভাবে সঠিক বিচার না পেয়ে সঠিক বিচারের আশায় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। বুধবার সকালে যশোরের বিজ্ঞ আদলতের সামনে, জেলা প্রশাসকের সামনে ও এডিসি সামনে ‘আদালতের রায় ডিক্রী না মানায় এবং আমার পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সাহায্য ও সহযোগিতা চাই’ শিরোনামে হাতে ডিজিটাল প্যানায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে শহিদুল ইসলাম পল্লব নামের এক ব্যক্তির।

শহিদুল ইসলাম পল্লব সংবাদকর্মীদের নিকট জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে আমার পিতা (সোহরাব হোসেন) ও ফুফু (খায়রুন নাহার) এর মোট ৭.৮০একর জমি। উক্ত জমির বিষয় নিয়ে আমার পরিবারের প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল ক্রামগত ভাবে শারিরিক-মানুষিক নির্যাতন করে আসছে। সেই সাথে মানহানিকর কর্যক্রম পরিচালনা করে আমার পরিবারের উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি সাধন করছে। বিবাদী ৩নং শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের স্বত্ত্ব দখলীয় জমির মধ্যে থাকা পুকুরে প্রায় ১০লাখ টাকার মাছ বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার বলে লুটপাট করে, পুকুর পাড়ে থাকা নারিকেল গাছ সহ অন্যান্য ফলের গাছ কর্তন, পুকুর পাড় ভাঙ্গা, পাটা, বাঁশ, নেট সরিয়ে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করছে।

আমরা বিজ্ঞ আদালত থেকে রায় ডিক্রী প্রাপ্ত হই। কিন্তু তারা বিজ্ঞ আদালতের রায় ডিক্রী মানতে নারাজ। বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা মামলা চলমান থাকলেও তারা বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা করে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে আমার পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে এবং বড় ধরণের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করছে। এই বিষয়ে স্থানীয় ভাবে আমার পরিবার অনেক বার মিমাংসার চেষ্টা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। যার করণে আমি সঠিক বিচার পাওয়ার স্বার্থে বিজ্ঞ আদলতে, জেলা প্রশাসক ও এডিসি স্যারের নিকট দাবি জানিয়েছি। এখন স্যারেরা যদি আমার কাগজপত্র দেখে সঠিক ভাবে বিচার করে তাহলে আমার পরিবারটি বাঁচবে। অন্যথায় আমাদের পরিবারটিকে পথে বসতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ