চোরের কোন ধর্ম নাই, লোভীর কোন ভালবাসা নাই
চোর সে তো চুরি করে ফেলেছে এখন এই চুরি থেকে বাচার জন্য কতশত মিথ্যা কথা যে সে বলতেছে আর বলবে সে নিজেও জানে না। এদেশের চোর কখনো নিজে চোর তা স্বীকার করে না। অথচ ফ্রান্সের বিখ্যাত ফুটবল তারকা জিদানকে খেলার মাঠে গালি দিয়েছিলো প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়। জিদান স্বজোরে ঘুষি মরে খাৎ করে ফেলে দিয়েছিলো। দৃশ্যমান এ কান্ডে ফিফা কর্তৃপক্ষ তার স্বর্ণের বুট কেঁড়ে নিয়ে ছিলেন।
প্রতিপক্ষ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্যে মিডিয়া সহ মাঠে ময়দানে জিদানকে দুষেছিলো। পরে জুরিবোর্ডে বিচারিক কার্যক্রমে শুনানীর সময় জিদানের কাছে এমন আচরণের হেতু জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন মাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় হঠাৎ তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলো তুমি একটা পতিতার ছেলে। তখন আমি মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। তাই আমি তাকে মেরেছি। এবার জুরিবোর্ড অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ওইদিনের ঘটনাটি সত্য ছিলো বলে স্বীকার করে। কারণ জানতে চাইলে উত্তরে বলেছিলো-তার অদম্য খেলার পারফার্মেন্স নষ্ট করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছিলো। মানুষ মাকে তুলে গালি দিলে মাথা ঠিক রাখতে পারে না। জুরিবোর্ড বিস্মৃত হয়ে জিদানকে নির্দোষ রায় দিয়ে স্বর্ণের বুট ফিরিয়ে দিয়েছিলো।
প্রতিপক্ষ দঁড়ি ছেড়া ষাড়ের মতো মাঠে ময়দানে অপপ্রচার করে মানুষের সহানুভূতি পাবার চেষ্টা করলেও জুরিবোর্ডের কাছে সত্যটা স্বীকার করেছিলো। এটাকে বলে নৈতিকতা। আসলে ধর্মের চেয়ে নৈতিকতা অনেক উর্ধ্বে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল দেশের প্রচলিত বিচারিক আদালত। সেখানে কোন মিথ্যার মিশ্রণ থাকতে পারে না। অথচ এদেশে যদি কাউকে আল কোরান, বাইবেল ও গীতাও দেওয়া হয়, সে ছুঁয়ে প্রয়োজনে মাথায় নিয়ে বলবে আমি চুরি করি নাই, আমি এই কাজটি করি নাই। অপরদিকে, লোভী কখনোই কাউকে ভালবাসতে জানে না কারন তার হৃদয়টা গিট দেয়া থাকে। সেখানে কারো ভালবাসা কোন আবেগ প্রবেশ করতে পারেনা। লোভী একসাথে বহুজনকে ভালবাসে একজনকে বলবে তোমাকে অনেক ভালবাসি।
আরেকজনের কাছে লোভের মাত্রাটা একটু বেশি দেখলে বলবে তুমি আমার জান তুমি আমার জীবন। আবার আরেকজনের কাছ থেকে যখন লোভের হাতে কলমে কিছু ফল আসতে থাকে। তখন তার বুকে মাথা রেখে বলবে তোমার বুকে আমি মাথা রেখেছি মৃত্যু ছাড়া কেউ তোমার কাছ থেকে আমাকে আলাদা করতে পারবে না। এমন কি তোমার বউ ও সাত বছরের বাচ্চাও পারবেনা তোমাকে আমার কাছ থেকে দুরে সরাতে।