Mahbub Sarker - (Comilla)
প্রকাশ ৩১/১২/২০২১ ০৫:৪২এ এম

E-passport: দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ই-পাসপাের্ট কার্যক্রমের শুভ উদ্বােধন

E-passport: দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ই-পাসপাের্ট কার্যক্রমের শুভ উদ্বােধন
৩০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ই-পাসপাের্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। ই-পাসপাের্ট কার্যক্রমের উদ্বােধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মােঃ আবু জাফর। ই-পাসপাের্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক

উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব মােঃ খায়রুল আলম শেখ। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক জনাব মােঃ সারওয়ার আলম এবং ই-পাসপাের্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম সালাহ উদ্দিন। এছাড়া, ই-পাসপাের্ট কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচক্ষণ এবং দুম্বাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৬২ সালে একটি পরিদপ্তর হিসাবে বহিরাগমন ও পাসপাের্ট অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে জাতির পিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে এটি অধিদপ্তরের মর্যাদা পায়। জাতির পিতার সুযােগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০১০ সালে বহিরাগমন ও পাসপাের্ট কুত্ৰন্ত কার্যক্রমে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির গাইডলাইনের সাথে সঙ্গতি রেখে মেশিন রিডেবল পাসপাের্ট ও মেশিন রিডেবল ভিত্সার কার্যক্রম শুরু হয়। ভিশন ২০২১ এর স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্ৰীর নির্দেশনায় ও সুযােগ্য নেতৃত্বে ২০২০ সালে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পাসপাের্টের যুগে প্রবেশ করে। ৯ম বৈদেশিক মিশন হিসাবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনাবেল, দুবাই ও উত্তর আমিরাতে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলাে ই-পাসপাের্ট কার্যক্রম।

নাগরিক তার সুবিধামতে পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদে ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপাের্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ পাসপাের্টের চিপে নাগরিক তথ্য খড়াও থাকবে ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফেস ইমেজ, চোখের আইরিসের তথ্য ও স্বাক্ষর । পলিকার্বোনেট ডাটা পেজে থাকছে নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব ও ব্যক্তিগত তথ্যেরসম্মান। ৩৮ টি নিরাপত্তা ফিচার সম্বলিত ই-পাসপাের্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি অনন্য সংযোজন।

অনলাইনে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন দাখিল করে আবেদনপত্র প্রিন্ট ও স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয় পত্র । অল ইন জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং দেশার সনদসহ কনস্যুলেটে ই-পাসপাের্টের জন্য নির্ধাৱিত ফি পরিশােধপূর্বক আবেদন করতে হবে।

প্রথম পর্যায়ে শুধু সাধারণ আবেদন গ্রহণ করা হবে। ভালাে ফলাফল পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদনের সময়ে ব্রাউজার হিসাবে গুগল ক্রোম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া, যথাযথ বারকোড প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারীর কম্পিউটারে অ্যাডােবি অ্যাক্রোব্যাট বিতার ডিসি’র সর্বশেষ সংস্করণ ইন্সটলড থাকা প্রয়ােজন। ই-পাসপাের্টের আবেদনের জন্য কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়ােজন হবে না। ফরমে কোন ছবি সংযােজন বা সত্যায়নেরও প্রয়োজন করতে হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  “ডিজিটাল বাংলাদেশ' রূপরেখার আলােকে বাংলাদেশ ও বিদেশ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে ই-পাসপাের্ট কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল , দুবাইয়ে ই-পাসপাের্ট চালুর ফলে এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপাের্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজতর ও নিরাপদ হবে। ই-পাসপাের্ট প্রক্রিয়ায় সর্বধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযােগ্যতা ও গ্রহণযােগ্যতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সাথে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে। এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপাের্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ