
नवीनतम वीडियो
কুষ্টিয়ার একজন সাধারণ রিকশাচালক তিনি বলেছেন, কখনো সে এমপি মন্ত্রী হতে পারলে কুষ্টিয়া শহরের ভিতর দিয়ে যে ট্রেন লাইন গিয়েছে, সেটি সে অপসারণ করে শহরের বাইরে নিয়ে যাবে।
এরপরে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস এর উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেছেন।
কুষ্টিয়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া বাজারে, কুমারখালী দধি ভান্ডার নামে এই দোকানের কারখানায় পাওয়া গেছে এমন দৃশ্য।
কুষ্টিয়ার মাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট লাঞ্চিত
বাদশা আলমগীর
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে মাজারের ভক্তদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ঘোড়েশাহ বাবার মাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ভেড়ামারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করতে গেলে মাজারে উপস্থিত ভক্তরা বাধা প্রদান করে। অভিযানে বাধা দেওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট ও তার টিম লাঞ্ছিত হন এবং শেষ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা না করেই ফিরে আসতে বাধ্য হন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযানে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম জানান, উচ্ছৃঙ্খল ভক্তরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করেন, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তৌফিকুর রহমান জানান, ওই এলাকায় গাঁজা সেবনের অভিযোগ ছিল এবং এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কুষ্টিয়ায় গৃহায়ন অফিসের কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন, তদন্তে আসেন পরিচালক
বাদশা আলমগীর, স্টাফ রিপোর্টার (কুষ্টিয়া) :
কুষ্টিয়ায় গৃহায়ন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাসলিমা জান্নাত আরজুর বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ ও ভোগান্তির কারণে সেবা গ্রহীতাদের গণপিটেশন ভিত্তিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক প্রশাসন আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে আসে তদন্তে।
১৭ ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দুর্নীতি মুক্ত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে হাউজিং এস্টেটের ভুক্তভোগী সেবাপ্রার্থী বাসিন্দারা। এ সময় তারা গৃহায়নের কুষ্টিয়া অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তসলিমা জান্নাত আরজু এর স্থায়ী বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি করে। এই বিক্ষোভ সমাবেশে ভুক্তভোগীরা জানায়, এই কর্মকর্তা অত্যন্ত বদ মেজাজি মানুষের সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলেন না এবং ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করতে চান না। জরুরি সেবার প্রয়োজনে অফিসে আসলে ঠিক মতন তাকে পাওয়া যায় না। তাই তারা এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি গণপিটেশন দেওয়া হয়।
সেবা গ্রহীতাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ পরিচালক প্রশাসন আলমীর হোসেন তদন্তে আসেন ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলতে। এসময় জাতীয় গৃহায়নের এই কর্মকর্তা জানান
সকলের কাছ থেকে তাদের অভিযোগ শুনেছি এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বক্তব্য আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ নেবেন পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
কুষ্টিয়ায় গৃহায়ন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাসলিমা জান্নাত আরজুর সাথে কথা বললে তিনি সেবা গ্রহীতাদের সাথে দুর্ব্যবহারের কথা অস্বীকার করলেও সেবা দিতে গাফিলতির বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।
হাউজিং সি ব্লকের একজন ভুক্তভোগী বলেন, আমি সাত মাস যাবত ঘুরছি। একটা নামজারির কাগজপত্র ঠিক করতে সাত মাস সময় লাগে কিনা আমার জানা নাই। প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাসলিমা জান্নাত এর ব্যাবহার খুবই খারাপ, তার সাথে কথাই বলা যাইনা, সে খুব রুট ব্যাবহার করে, আদেরকে মানুষ বলে মনে করেনা। ভুক্তভোগী আরাও বলেন উনার সাথে কথা বলতে আমার আত্মসম্মানে লাগে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা আপনার কাছে কোন টাকা পয়সা চেয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী বলেন, না সে আমার কাছে কোন টাকা পয়সা চাইনি বা চাইতে পারেনি বলেই হয়তো আমার কাজ হচ্ছে না, আমাকে ঘুরতে হচ্ছে। আমার কাজ কবে হবে আমি জানিনা।
এই ভুক্তভোগীর বিষয়টি প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাসলিমা জান্নাতের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমাদের অফিসের এম এল এস এস একমাস আগে বদলি হয়ে গিয়েছে, তার কাছ থেকে কাগজপত্র বুঝে নেওয়া হয়নি। তাকে বারবার ফোন দেওয়া হয়েছে কিন্তু সে বলছে আসবো আসবো কিন্তু এখনো আসেনি। এসময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনার অফিসের এমএলএসএস কাগজপত্র আপনাকে বুঝিয়ে দেয়নি এ বিষয়টি আপনি আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন কিনা, তখন তিনি বলেন না আমি জানাইনি এটা আমার ভুল হয়েছে।
অপহরণ সন্দেহে গণপিটুনি। অবশেষে জানা গেল আসল ঘটনা।
কুষ্টিয়ায় দুটি ছেলেকে অপহরণের সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে সাধারণ জনগণ। জানাযায় গত ২৫ মার্চ সোমবার ১৫ বছরের একটু ছেলেকে অপহরণ করে মারধোর করছিলো পরে এলাকাবাসী দেখে গনপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন এটি কোন অপহরণ নয়, তারা তিনজন একে অপরকে অনেক আগে থেকে চেনে এবং একই স্কুলে পড়াশোনা করে। তাদের মধ্যে একটি ভিডিও নিয়ে ঝামেলা হয় ঠিক ওই সময় এলাকাবাসী দেখে ফেলে। পরে ওই ভুক্তভোগী ছেলের বাবা এসে দাবি করে আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এই কথা শুনে এলাকাবাসী কোন যাচাই-বাছাই না করেই এই দুটি ছেলেকে অপহরণকারী বলে গণপিটুনি দেয়, পরে আমরা খবর পেয়ে ছেলে দুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। থানায় নিয়ে আসার পরে দুই পক্ষের থেকে মুছলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
যে দুটি ছেলেকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে, সেই দুটি ছেলে এটির সঠিক বিচার চাই কারণ সোশ্যাল মিডিয়া তাদের এই গণপিটুনি খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তারা এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না।