শর্টস সৃষ্টি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া মাহমুদপুর এলাকায় উঁচু ভিটার মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায় শ্রমিক দলের নেতা কর্তৃক দুই শিক্ষকের বাড়িতে হামলা ভাংচুর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। দুপুরে
ভালুকা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী বিরুনীয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মকবুল হোসেন বলেন , মাহমুদপুর গ্রামে পৈতৃক উঁচু ভূমিতে বাগান এবং ফসলী জমি থেকে বিরুনীয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আশিকুর রহমান রিগানের নেতৃত্বে মাটি কেটে নেওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়। গত ৬ মার্চ মোঃ মনিরুজ্জামানকে ভালুকা পৌর এলাকার মেজরভিটা থেকে ধরে নিয়ে সাবেক এক চেয়ারম্যানের বাসায় নিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং ভিডিও ধারণ করে। পরে ৮ মার্চ রাতে রিগান ও জ্বন সহ ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা করে। এতে মনিরুজ্জামান ও তার মা সখিনা আক্তার আহত হন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামানের স্ত্রী বালিঝুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন জানান, রিগান ও জন ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা তাদের ভয়ে জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি।

শ্যামনগরে শতবর্ষী গিরিধরের চড়ক পূজা
শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের কোলঘেঁসা মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালি গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় শতবর্ষ কাল পূর্বে চড়ক পূজা কেন্দ্র করে ছোট্ট একটি পরিচয়ের একটি মেলা হতো, শেষ পর্যন্ত গিরিধারী চড়ক মেলা নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ের পালা বদলে বাংলা নববর্ষ ও দক্ষিণবাংলায় গিরিধারী চড়ক মেলায় এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বয়ে চলেছে দীর্ঘকাল। চৈত্র সংক্রান্তের শেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গিরিধারী চড়ক মেলা। দক্ষিণবাংলায় শ্যামনগরে গিরিধারী সড়ক মেলা ইতিহাস খ্যাত। এছাড়া শ্যামনগরে উপজেলায় আটটি স্থানে চড়ক মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৫ সালে অর্থাৎ ১৪৩২ বঙ্গাব্দে চৈত্রমাসে চড়কপূজার শতবর্ষ পূর্ণ হলো। সেই উপলক্ষ্যে অতীতের সোনালি দিনগুলোকে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। সাথে গিরিধারে চড়ক মেলা পূজা উদযাপন কমিটির জন্মের লেখক শিক্ষক দেবপ্রসাদ মন্ডল ও নব কুমার মন্ডল তাদের তথ্য অনুসন্ধানে কাজটি আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ।
বাংলাদেশের বাঙালিদের অতি প্রাচীনতম লোক উৎসব চড়ক পূজা শিবের গাজন। ক্রমে ক্রমে ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা এই গাজনকে শিব উৎসবে পরিণত করেছেন। শিবক্রমে প্রধান গ্রাম দেবতা গাজন সহজে শিবের গাজন নামে পরিণত লাভ করে। পন্ডিতেরা মনে করেন যে গাজন ও গাজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চড়ক উৎসব আদিম সমাজ থেকে এসেছে।