ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
شارٹس بنانا

এবারে রাঙ্গুনিয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন, শ্রমিকের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকের কৃষক
দেশের শস্যভান্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলসহ বিভিন্ন বিলে এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে সবুজ ধান সোনালি বৰ্ণ হয়ে পাকতে শুরু করলে গুমাই বিলসহ বিভিন্ন বিলে ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকরা। অনেক কৃষক ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলেছেন। তবে এবার শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গুমাইবিলসহ উপজেলায় ৩ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত মৌসুমে রাঙ্গুনিয়ায় ধান ও চালের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আবাদ হয়েছে। বাংলাদেশে প্রধান চলনবিলের পরে দ্বিতীয় বিল হিসেবে পরিচিত এ গুমাই বিল। জানা যায়, গুমাইবিলে প্রতি বোরো মৌসুমে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে।
এদিকে গুমাই বিলসহ অন্যান্য বিলে গিয়ে দেখা যায় এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে শ্রমিক সংকট ও শ্রমিকের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে।
তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাসিমুখে ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা।

এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ আবদুল্লাহ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মীরসরাই উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক খান সাহাব মেম্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব মোঃ আলাউদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন মীরসরাই উপজেলা বিএনপি সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী, মীরসরাই উপজেলা বিএনপি সদস্য এডভোকেট নুরুল করিম এরফান। মীরসরাই উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিক দলের তসলিম উদ্দিন। ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস করিম চৌধুরী। ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি বাবুল মিয়া। বিএনপি নেতা আবুল কাশেম। আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দল, ছাত্রদল, যুবদল ও আরো বিএনপির অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন। এই সময় প্রধান অতিথি তার এক বক্তব্যে বলেন ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের শ্রমিকেরা ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন, যার ফলে তারা পেয়েছিলেন ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকার স্থান।
এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, সমাজের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পেছনে শ্রমিকদের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেন শ্রমিকদের যথাযথ সম্মান, ন্যায্য মজুরি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকি। সেটিই হোক আজকের অঙ্গীকার।