close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

Shorts skab

⁣মাধবপুরে কৃষক ফারুক হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবিতে মানববন্ধনে শিক্ষক মুজিবুর রহমান বাহার।

Nahid Hasan

0

2

1,919

⁣টঙ্গীতে ট্রাভেল ব্যাগে পুরুষের খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

Dr Md Jonaid

0

0

13

⁣সংঘর্ষের পর কালীগঞ্জে পরিবার ঘরছাড়া১৫০০, ৩ নং নম্বর কোলা ও ২ নং জামাল ইউনিয়ন

সংবাদ সম্মেলনে দাবি

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া এলাকায় গত ১ জুন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এর পর পর থেকেই জামাল ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে দুই শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে শহরের নলডাঙ্গা সড়কে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা বিএনপি। এতে দাবি করা হয়, ইউনিয়নটির ২০টি গ্রামের ১ হাজার ৫০০ পরিবার বর্তমানে ঘরছাড়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু বলেন, গত ৩০ ও ৩১ মে জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনের কর্মসূচি নেয় স্থানীয় বিএনপি। ২নং জামাল ইউনিয়নও কর্মসূচি নেয়। কিন্তু কর্মসূচিতে বাধা দিতে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা ও ৪ আগস্ট বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ মামলার আসামি আলাউদ্দিন আলা এবং সাবেক

জামায়াত নেতা ইউনুস আলীর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, ৩১ মে রাতে উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামে দফায় দফায় তারা মিটিং করতে থাকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করার জন্য। বিষয়টি বিএনপি নেতারা ওসিকে জানালেও তিনি আমলে নেননি। রাত ।। রাত থেকে শুরু করে সংঘর্ষের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় প্রশাসনের শরণাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও কোনো সহযোগিতা পাইনি। সহযোগিতা পেলে ও পুলিশ মোতায়েন করলে এই সংঘর্ষ এড়ানো যেত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, মোশাররফ হোসেন, জবেদ আলী, মোহাম্মদ আলী

জিন্নাহসহ অন্যরা।

অভিযোগের বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা আগে থেকে কোনোকিছুই আমরা জানি না। জানামাত্রই আমি ফোর্স নিয়ে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই।

IBRAHIM SHEAK

0

2

16

বিজেএসএম মডেল কলেজে নতুন শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্মাণের শপথ

নতুন শিক্ষাবর্ষ মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন পরিকল্পনা আর নতুন অঙ্গীকার। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাজীবনের প্রথম দিনটি এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথমবার প্রবেশ করা শিক্ষার্থীদের কাছে এটি যেন এক নতুন দুনিয়ায় পা রাখার মতো অনুভূতি। বিজেএসএম মডেল কলেজে আয়োজিত এবারের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম সেই অনুভূতিকে আরো প্রাণবন্ত করেছে। কলেজের প্রতিটি কোণ যেন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে নতুন আলো আর আশার বার্তা নিয়ে।

প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছে, তারা শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়নি—বরং তারা একটি বড় পরিবারের অংশ হয়ে উঠেছে। নতুন পরিবেশ, নতুন সহপাঠী আর নতুন শিক্ষকের সাথে পরিচিত হওয়ার মুহূর্তগুলো ছিল আনন্দ, কৌতূহল এবং চ্যালেঞ্জের এক অনন্য মিশ্রণ। সেই সাথে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের প্রতিটি ধাপ তাদের মানসিক প্রস্তুতিকে আরও দৃঢ় করেছে।

প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ, প্রভাষকবৃন্দ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মোঃ শফিউল আলম, প্রভাষক, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রাণবন্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিজেএসএম মডেল কলেজ একদিন শুধু স্থানীয় নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজের পরিচিতি তুলে ধরবে। তার বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মনে আত্মবিশ্বাস ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার নতুন শিখা জ্বালিয়ে দেয়।

আমি নিজে, প্রভাষক তৌফিক সুলতান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নির্মাণের কিছু দিক নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাই। আমি তাদের বলেছি, কলেজ জীবন শুধু পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি হলো প্রতিভা বিকাশের সোনালী সময়। শিক্ষার্থীরা চাইলে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করে সমাজ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখতে পারে। আমি তাদের উৎসাহিত করেছি লেখালেখি করার জন্য—পত্রপত্রিকায় নিজেদের মতামত প্রকাশের জন্য, কারণ লেখনী হচ্ছে চিন্তা ও চেতনার সর্বোত্তম প্রকাশ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা এই কলেজের প্রতিনিধিত্ব করবে শুধু ফলাফলের মাধ্যমে নয়, বরং জ্ঞান, সৃজনশীলতা এবং সামাজিক অবদানের মাধ্যমেও।

অধ্যক্ষ মঞ্জিল মোল্লা শিক্ষার্থীদের প্রতি তার গভীর আন্তরিকতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা সব সময় যেন মনে রাখে—কলেজের শিক্ষকরা সবসময় তাদের পাশে আছেন। যেকোনো প্রয়োজনে তারা নির্দ্বিধায় শিক্ষকদের দ্বারস্থ হতে পারে। তার এই বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মনে আস্থা এবং সুরক্ষার এক শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দেয়।

শিক্ষিকা জাফরিন সুলতানা তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, কলেজে তারা সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য উপস্থিত থাকবেন। কোনো সমস্যা হলে শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময় তার কাছে আসতে পারবে। শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকের এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক একটি উন্মুক্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ওরিয়েন্টেশনে শিক্ষার্থীদের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়। বিজেএসএম মডেল কলেজের সাহিত্য ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, সাংস্কৃতিক ক্লাব এবং ভাষা ক্লাব শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয় না, বরং দলগত নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক সচেতনতার মতো গুণাবলী অর্জন করে।

আজকের ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা অপরিহার্য। আমাদের কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ইন্টারনেট সুবিধা এবং আধুনিক ল্যাব রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করে। আমি শিক্ষার্থীদের বোঝাতে চেয়েছি, প্রতিযোগিতা এখন আর স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়। তাই তাদের এমনভাবে প্রস্তুত হতে হবে যেন তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেও নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারে।

ওরিয়েন্টেশনের সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত ছিল শিক্ষার্থীদের শপথ গ্রহণ। তারা প্রতিজ্ঞা করেছে, তারা নিয়মিত পড়াশোনা করবে, শিক্ষক-অভিভাবকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, নৈতিকতা বজায় রাখবে এবং দেশের কল্যাণে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। তাদের চোখের দীপ্তি আর কণ্ঠের দৃঢ়তা আমাদের সকলকে আশ্বস্ত করেছে যে, তারা সত্যিই ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।

অভিভাবকদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন যে, বিজেএসএম মডেল কলেজ শুধু শিক্ষার মান উন্নয়নে নয়, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনে এবং মানবিক গুণাবলীর বিকাশে কাজ করছে। অভিভাবকরা আশা প্রকাশ করেন, তাদের সন্তানরা এই কলেজ থেকে যোগ্য নাগরিক হয়ে বেরিয়ে আসবে।

সবশেষে বলা যায়, বিজেএসএম মডেল কলেজের নতুন শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি ছিল এক নতুন যাত্রার সূচনা। শিক্ষার্থীরা বুঝে গেছে, শিক্ষা মানে শুধু পাঠ্যপুস্তক নয়, বরং চিন্তাশক্তি, নেতৃত্ব, মানবিকতা এবং সৃজনশীলতার বিকাশ। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিভা ও অধ্যবসায় দিয়ে কলেজের সুনাম আরও উজ্জ্বল করবে।

Towfiq Sultan

0

0

6

⁣ফিলিস্তিন ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ

Akm Kaysarul Alam

0

2

20