close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

Shorts skab

⁣হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ওরিয়েন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাস চালক ও হেলপার গ্রেপ্তার।

⁣হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে ঢাকার ওরিয়েন্টাল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা বাস চালককে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। পালিয়ে যাওয়া হেলপারকে পরদিন রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থেকে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে, যখন ওই শিক্ষার্থী ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে বানিয়াচংয়ে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
ওই শিক্ষার্থী শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রীজ এলাকায় নামার কথা থাকলেও ঘুমিয়ে পড়ায় নামতে পারেননি। রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর এলাকায় মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি লোকাল বাসে ওঠেন। নবীগঞ্জের আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে বাসে একা পেয়ে চালক ও হেলপার তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন এবং বাস চালক সাব্বির মিয়াকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন, তবে হেলপার পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত বাস চালক সাব্বির মিয়া (২৭) নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের ফকির আলীর ছেলে এবং হেলপার লিটন মিয়া (২৬) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মামলা দায়ের করেছেন এবং চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, "হাসপাতালে ভিকটিমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।" পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় থাকেন। তিনি ঢাকার ফার্মগেট থেকে বিলাশ পরিবহন বাসে সিলেট আসেন এবং পরে মা এন্টারপ্রাইজ বাসে দাদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
শেরপুর এলাকায় গিয়ে বাসটি যখন যাত্রীশূন্য হয়ে পড়ে, তখন চালক ও হেলপার মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাসটি আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে কলেজ ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেয়। রাত ১২টার দিকে চালককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে নবীগঞ্জ থানায় কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান। পরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন এবং বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলার আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।"
ঘটনার পর নবীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের ঘটনাগুলি নারীর চলাচল ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি তৈরি করে এবং সমাজে নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আরও কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সমাজের সকল স্তরের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

AK KAWSUR

0

0

13

হবিগঞ্জ: স্মৃতির টানে প্রিয় প্রাঙ্গণে এসো মিলি প্রাণের বন্ধনে’ স্লোগানে শতবর্ষী হবিগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজের ১৯১৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় কলেজ প্রাঙ্গণে এক আনন্দমুখর পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক এডভোকেট আফতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সৈয়দ মুশফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকদের ফুল দিয়ে এবং সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বরণ করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরী ইকবাল। এসমসয় কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আউয়াল, সাংবাদিক ফজলুর রহমান, ডা.জিতু মিয়া, ব্যাংকার নোমানসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বক্তৃতা করেন।

এদিকে পুনর্মিলনী উৎসবে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছিলেন আনন্দে, যেন তারা ফিরে গেছেন নিজেদের শৈশবে। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে আবার একত্রিত হতে পেয়ে তাদের সব ক্লান্তি যেন দূর হয়ে গিয়েছিল। একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন দ্বার তৈরি করছিলেন তারা এবং আনন্দময় মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করছিল।

আলোচনা শেষে শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ, নৃত্য ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরো আয়োজনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সেখানে একে অপরের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা, এবং সবার মধ্যে এক অনন্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়।অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জ নিত্য নিকেতন, নিত্যকুড়ি নৃত্যালয় সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরী ইকবাল বলেন, হবিগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের বাসভবন ও কলেজের পুকুরসহ জমি বে-দখল হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল এটা কোনো ভাবেই গ্রহনযোগ্য বিষয় হতে পারে না, জমি দখলমুক্ত ও পুনরুদ্ধার করতে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

তারিখঃ ১১ জুন ২০২৫

AK KAWSUR

0

0

379