কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
শর্টস সৃষ্টি


পুশকৃত চিড়ী জব্দ ও ভ্রাম্যমান আদালতে লক্ষ টাকা জরিমানা
রনজিৎ
বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়
সেনাবাহিনীর অভিযানে অপদ্রব্য পুশকৃত ২১০ কেজি বাগদা চিংড়ী ও পুশকাজে
ব্যবহ্নত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয় এবং পরবর্তীতে ভ্রাম্যমান আদালতে এক
লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার(২৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায়
উপজেলার ঈশ^রীপুর ইউনিয়নের খ্যাগড়াঘাট গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আতাউর রহমানের
বাড়ীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি
জানান, ডিজিএফআই শ্যামনগর উপজেলার প্রতিনিধি সার্জেন্ট মোঃ আল মামুনের
দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী কালিগঞ্জ-শ্যামনগরের ক্যাম্প কমান্ডার
ক্যাপ্টেন মোঃ নাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনাকালে ময়দা ও
সাবুদানা জেলি জাতীয় তরল পুশকৃত ২১০ কেজি বাগদা, গলদা চিংড়ী সহ পুশ কাজে
ব্যবহ্নত ময়দা, সিরিঞ্জ ও ঔষধ জব্দ করা হয়। এ সময় পুশকাজে জড়িত থাকার
অভিযোগে হাতেনাতে দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিদ্বয় হলেন উপজেলার খ্যাগড়াদানা গ্রামের কওছার মোড়লের ছেলে আতাউর মোড়ল ও একই গ্রামের শওকত মোল্যার মেয়ে ছামিয়া বেগম।
পরে
ভ্রাম্যমান আদালতে আটককৃতদের রপ্তানিযোগ্য বাগদা চিংড়ীতে পুশের দায়ে এক
লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এবং জব্দকৃত ২১০ কেজি চিংড়ী বিনষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত।
উপজেলা
সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন চিংড়ীতে জেলি পুশের
দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী আটককৃতদের এক লক্ষ টাকা জরিমানা
করা সহ আদায় করা হয়েছে।

মাত্র ১৮ বছর বয়স—জীবনের শুরু, স্বপ্ন গড়ার সময়। অথচ এ বয়সেই এক তরুণ এমন এক নির্মম সিদ্ধান্ত নিল, যা ভাবলেও হৃদয় কেঁপে ওঠে। আত্ম*হত্যা—এটা কোনো সমাধান নয়, বরং এক চরম পরিণতি। কিন্তু কী এমন কষ্ট ছিল তার জীবনে, যা তাকে এত বড় এক নিকৃষ্ট পথ বেছে নিতে বাধ্য করলো?
ছেলেটির বাবা নেই। পরিবারে ছিল শুধু মা ও এক বোন। সংসারের বড় সন্তান হিসেবে হয়তো দায়িত্বের ভারটাই বেশি অনুভব করতো। কে জানে—কোনো চাপ, অপমান, হতাশা বা অভাব তাকে ভিতর থেকে এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে, যার বোঝা সে আর বহন করতে পারেনি।
সে নিজের জীবনটা শেষ করে দিলো ঠিকই—কিন্তু পেছনে রেখে গেলো এক অসহায় মা, যার বুকটা আজ ফেটে চৌচির, আর এক ছোট বোন, যার ভরসার একমাত্র মানুষটাকেও কেড়ে নিলো এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা। সে নিজের জীবন দিয়ে নিজের প্রিয়জনদেরও যেন জীবন্ত লাশ বানিয়ে গেলো।
জানি না, কী সেই অজানা কষ্ট, কিন্তু এটুকু জানি—কাউকে হারানোর ব্যথা সারা জীবনের জন্য রয়ে যায়। জীবন যতই কঠিন হোক, বেঁচে থাকার লড়াইটাই সবচেয়ে বড় সাহস। কেউ যদি আগে পাশে দাঁাতাতো, একটু বোঝাতো—হয়তো আজ গল্পটা অন্যরকম হতো।