شلوار کوتاه ایجاد کردن

রাজনৈতিক বন্দোবস্তের নাম হলো খেলাফত ব্যাবস্থ।আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতার প্রায় ৫৪ বছর পর এসে যে পুনর্গঠিত হচ্ছে, এই পুনর্গঠনের সময় আমরা একটা স্লোগান তুলতে চাই"ধর্ম-বর্ন ভিন্নমত,সবার জন্য খেলাফত"আল্লাহ্ প্রদত্ত সেই খেলাফত ব্যাবস্থা সকল মানুষের জন্য।সকল ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক, মানবিক, অর্থনৈতিক,পারিবারিক,সামাজিক জানমালের নিশ্চয়তার জন্য একমাত্র ব্যাবস্থা হলো খেলাফত ব্যাবস্থা।
বান্দরবানের প্রাণকেন্দ্রের হাজার মানুষের এই জনসমাবেশ প্রমান করে আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। আমরা একটি সুন্দর বৈষম্যহীন জুলুম মক্ত,ইনসাফ পূর্ন একটি সম্মিলিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে ইনশাআল্লাহ সকল ইসলাম পন্থীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য আমরা জাতীকে উপহার দিবো।
বৃহস্পতিবার(৮ই মে) বিকালে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে খেলাফতে মজলিস, বান্দরবান জেলা শাখারা,সভাপতি,হাফেজ মাওলানা আব্দুস ছোবহান এর সভাপতিত্বে,
খেলাফতে মজলিস বান্দরবান এর সেক্রেটারি, হাফেজ মাওলানা আবুল কাশেম এর সঞ্চালনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শাপলা চত্বরে গনহত্যার বিচার এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গনজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস,বান্দরবান পার্বত্য জেলার আয়োজনে গণসমাবেশ ও ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস এর আমীর আল্লামা মামুনুল হক।
এসময় আল্লামা মামুনুল হক আরো বলেন আমাদের স্বাধীনতাকে ছিনতাই করা হয়েছিলো, ১৯৫২ সাল হতে ১৯৭০ দীর্ঘসময় স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছিলো,বাংলার মানুষ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য দেষের মানুষের বিরুদ্ধে পরিচালিত সকল বৈষম্যমূলক বিবর্তন মূলক ষৈরাচারী পাক বাহীনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলো।সেই দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতার মুক্তির সংগ্রাম ছিলো জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই,জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সাম্যের লড়াই।এসময় তিনি বলেন স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করলেন,সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি গেলেন লন্ডনে লন্ডন থেকে তার বিমান স্বাধীন বাংলার মাটিতে না এসে নয়া দিল্লিতে অবতরণ করলেন,তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে আশার আগে দিল্লির প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধীর কাছে গেলেন, তার সাথে আপোষ নামায় স্বাক্ষর করলেন,বাংলাদেশে আসার সময় ইন্দ্রিরা গান্ধী শেখ মুজিব কে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিলেন, আর সেই প্রেসক্রিপশনের উপর ভিত্তি করে ১৯৭২ সালে একটি সংবিধান তৈরী হলো, ভারতের সংবিধানের ৪ মূলনীতিকে বাংলাদেশের গণমানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো।৭২ এর ভারতীয় চেতনাকে ৫০ বছর পর্যন্ত মুক্তি যুদ্ধের চেতনা বলে চাপিয়ে দেওয়ার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। যখনি বাংলার মানুষ এসকল বিষয় নিয়ে আন্দোলন করেছে তখনি তাদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী তকমা দিয়ে দমন করবার পায়তারা করেছে।
এসময় তিনি আরো বলেন যে ভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ৭২ এর চেতনা দার করিয়ে,ভারত থেকে চেতনা আমদানি করে ৭১ এর জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই কে ছিনতাই করা হয়েছিলো ২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে আরেকটি চক্র জুলাই আগস্টের বিপ্লবের অর্জন কে ছিনতাইয়ের পায়তারা চালায়।তিনি বলেন বাংলাদেশর মানুষ কে মনে রাখতে হবে , চুন খেয়ে যারা মুখ পুড়িয়েছে,নেড়ে বেল তলায় দুইবার যায় না।তিনি বলেন আমাদের ১৯৭১ এর অর্জন কে ছিনতাই করার পর পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত সংগ্রাম করতে হয়েছে,আবার ২০২৪ সালের পর যদি আমাদের ২৪ এর অর্জন কে কেউ যদি ছিনতাই করতে চায় গোটা বাংলাদেশ জুড়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জুলাই আগষ্টের যেই গনঅভ্যুত্থান হয়েছে সেই গনঅভ্যুত্থানের অন্যতম মৌলিক বৈশিষ্ট ছিলো বাংলাদেশের সকল শ্রেণী ও পেষার মানুষ আওয়ামীলীগের বিভাজনের ষড়যন্ত্র,শেখ হাসিনার বিভাজনের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি কে ব্যার্থ করে দিয়ে বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী, বান্দরবান জেলা আমির, এস এম আবদুচ সামাদ আজাদ, নায়েবে আমির,এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ,সেক্রেটারি,আবদুল আওয়াল,বান্দরবান কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব,মাওলানা আলাউদ্দিন ঈমামী সহ খেলাফতে মজলিস বান্দরবান জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে দুপুর ২ টায় মোটর শোভাযাত্রা সহকারে বান্দরবান সার্কিট হাউসে উপস্থিত হোন আল্লামা মামুনুল হক।জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা হতে হাজারো নেতাকর্মী মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে যোগ দেন।বিকাল চার টায় সমবেশ স্থল পরিনত হয় হাজারো মানুষের জনসমাগমে।

#banglanews #banglanewstoday #banglanewsong #banglanewsong2024 #banglanewslive #banglanewsong2023 #banglanewsong2020 #banglanewstv #banglanewshortfilm #banglanewsupdate #banglanewsadsong #banglanewschannel #banglanewshortfilm2021 #banglanewshortfilm2020 #banglanewsong2019 #banglanewsong2022 #banglanewsong2021 #banglanewsong2025 #banglanewsong2018 #rbanglanews #rbanglanewslive #banglanews24

তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীদের ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের উপর হামলার প্রতিবাদে গত ১৬ এপ্রিল তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টাকসু)-এর উদ্যোগে টঙ্গীর এরশাদ নগরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাদ্রাসার প্রধান ফটক থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি এরশাদ নগরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে এশিয়া পাম্পের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এই প্রতিবাদ মিছিলে তা’মীরুল মিল্লাতের প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা "ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ", "তুমি কে আমি কে - আজাদী" ইত্যাদি স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানায়।
সমাবেশে তুরাগ শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা একটি প্রতিবাদী পথনাটক পরিবেশন করে। নাটকের মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী দেশ তথা মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর প্রতি ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।
তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টাকসু)-এর সভাপতি ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সম্মানিত প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ইসহাক আলী। এছাড়াও, টাকসুর বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টাকসুর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির।
সমাবেশে বক্তারা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং সকল মুসলিম দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। একইসাথে, তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি ফিলিস্তিনের মানুষের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।