কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
Kratke hlače Stvoriti
নলছিটিতে পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতিতে কৃষক গুরুতর আহত
ঝালকাঠির নলছিটি থানার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুরিয়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের মারাত্মক গাফিলতির কারণে একজন কৃষক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে একটি ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তার সিঁড়ির নিচে ঝুলে ছিল। বিষয়টি স্থানীয়রা সকালেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অবহিত করলেও, সময়মতো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে করে কৃষকটি ওই তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দুর্ঘটনায় তার শরীরের চামড়া উঠে গিয়েছে এবং রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা আহত কৃষককে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শিকদার উজির আলী এবং প্যানেল চেয়ারম্যান জুয়েল এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্যরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গাংনী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জাকির বিশ্বাস, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক আহমেদ, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. হান্নান, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আলী আহমেদ শেখ, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হাফিজুর রহমান ও ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমানসহ এলাকাবাসী।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর শিকদার উজির আলী স্বেচ্ছাচারিতা শুরু করেছেন। তিনি ইউনিয়নের জনগণের কোনো সেবা দেন না, বরং সেবা নিতে গেলে ঘুষ দিতে হয়। ট্যাংকি, টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া পরিষদে তিনি নিয়মিত আসেন না, ফলে ইউনিয়নের জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে মৌলিক সেবা থেকে।
৭নং ওয়ার্ড সদস্য আলী আহমেদ শেখ অভিযোগ করে বলেন, “চেয়ারম্যান এত বেশি স্বেচ্ছাচারিতা করেছে যা বর্ণনা করা কঠিন। পরিষদের ব্যাংকে থাকা প্রায় ৬ লাখ টাকা তিনি তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি আড়াই বছর ধরে ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা দেননি।”
বক্তারা যেকোনো মূল্যে বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানান। তাদের মতে, এভাবে চলতে থাকলে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ আরও সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এবং দুর্নীতির শিকার হবে।



