লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
Shorts Lumikha
নেত্রকোনা সীমান্তে দুর্গাপুরে স্বামী স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনা সীমান্তে দুর্গাপুরে বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুরালিয়া গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্বামী সোহাগ একজন রাজমিস্ত্রী।সে তিন বছর আগে ঝুমা আক্তারকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছেন।গত শনিবার রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুজনের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়।তারা তাদের বাচ্চাকে ঝুমা আক্তারের বাবার কাছে রেখে পাশের ঘরে ঘুমাতে যায়।
মধ্যরাতে হঠাৎ ঝুমার বাচ্চা তার মায়ের কাছে যেতে চাইলে ঝুমার বাবা তাকে নিয়ে গিয়ে পাশের ঘরে ঝুমা ও তার স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে রোববার দুপুরে দুর্গাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ওরিয়েন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাস চালক ও হেলপার গ্রেপ্তার।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে ঢাকার ওরিয়েন্টাল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা বাস চালককে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। পালিয়ে যাওয়া হেলপারকে পরদিন রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থেকে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে, যখন ওই শিক্ষার্থী ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে বানিয়াচংয়ে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
ওই শিক্ষার্থী শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রীজ এলাকায় নামার কথা থাকলেও ঘুমিয়ে পড়ায় নামতে পারেননি। রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর এলাকায় মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি লোকাল বাসে ওঠেন। নবীগঞ্জের আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে বাসে একা পেয়ে চালক ও হেলপার তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন এবং বাস চালক সাব্বির মিয়াকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন, তবে হেলপার পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত বাস চালক সাব্বির মিয়া (২৭) নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের ফকির আলীর ছেলে এবং হেলপার লিটন মিয়া (২৬) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মামলা দায়ের করেছেন এবং চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, "হাসপাতালে ভিকটিমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।" পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় থাকেন। তিনি ঢাকার ফার্মগেট থেকে বিলাশ পরিবহন বাসে সিলেট আসেন এবং পরে মা এন্টারপ্রাইজ বাসে দাদার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
শেরপুর এলাকায় গিয়ে বাসটি যখন যাত্রীশূন্য হয়ে পড়ে, তখন চালক ও হেলপার মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাসটি আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে কলেজ ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেয়। রাত ১২টার দিকে চালককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে নবীগঞ্জ থানায় কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান। পরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন এবং বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলার আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।"
ঘটনার পর নবীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের ঘটনাগুলি নারীর চলাচল ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি তৈরি করে এবং সমাজে নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আরও কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সমাজের সকল স্তরের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বরগুনা জেলার প্রশাসন ব্যবস্থায় নতুন উদ্দীপনা ও আশার প্রতীক হয়ে উঠে এসেছেন সদ্য যোগদান করা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মিজ্ তাছলিমা আক্তার। জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি মানবিকতা, আন্তরিকতা ও উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে একের পর এক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। প্রথমবারের মতো বরগুনা একজন নারী জেলা প্রশাসক পাওয়ায় জেলাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ইতিবাচক সাড়া।
শীত মৌসুমের শুরুতে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় অসহায়, শীতার্ত ও দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, শিক্ষা সহায়তা এবং সামাজিক সুরক্ষায় উদ্যোগ নিচ্ছেন,
দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি জেলার বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা, রাস্তা-ঘাট এবং নদীভাঙনসহ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন। স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি বাস্তব সমস্যাগুলো খুব কাছ থেকে জেনেছেন এবং সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন।
জেলার প্রতিটি উপজেলা, শহর ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন শুরু করেন। জনগণের সমস্যা জানার পাশাপাশি চলমান উন্নয়নকাজগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি


