উরুগুয়ের সাবেক গেরিলা যোদ্ধা 'বিশ্বের সবচেয়ে গরিব প্রেসিডেন্ট' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত উরুগুয়ে শাসন করা এই সাবেক গেরিলা যোদ্ধা ইয়ামান্দু ওরসির মৃত্যুর খবর জানিতে এক্স'-এ এসেছেন উরুগুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
ইয়ামান্দু ওরসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স'-এ তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখেন- 'আপনি আমাদের যা কিছু দিয়েছেন এবং জনগণের প্রতি আপনার গভীর ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ'. তিনি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তার জীবনযাপন বা চলাফেরা ছিল খুবই সহজ ও সাধারণ। ভোগবাদ বিরোধী মনোভাব এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্কারের কারণে তার ব্যাপক পরিচিতি তৈরি হয়েছিল।
তার শাসনামলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে উরুগুয়ে গাঁজা সেবনের বৈধতা দেয়। এছাড়া গর্ভপাতের অধিকার, সমলিঙ্গের বিয়ের স্বীকৃতি দিয়েছিল উরুগুয়ে।
মুহিকা লাতিন আমেরিকা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। মাত্র ৩৪ লাখ জনসংখ্যার দেশ উরুগুয়ের একজন রাষ্ট্রপতি, তবুও বিশ্বজুড়ে ছিল তার জনপ্রিয়তা। যদিও তার পরে যারা তার উত্তরাধিকার হিসেবে এসেছিল ওই পদে তারা দেশটিতে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।
তাকে দেখলে কেউ মনেই করতে পারতেন না যে তিনি একজন রাজনীতিবিদ। যদিও বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন।
তিনি বলতেন, রাজনীতি, বই কিংবা কৃষিকাজের প্রতি তার আগ্রহের বিষয়টি তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। যিনি মন্টেভিডিও শহরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে তাকে বড় করেছেন।
যুবক বয়সেই তিনি উরুগুয়ের ঐতিহ্যবাহী দল 'ন্যাশনাল পার্টির' সদস্য হন। যা পরে তার সরকারের মধ্য ডানপন্থী বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠে।



















