নাটোরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখা করতে না পেয়ে পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে অনুষ্ঠান বর্জন করলেন জেলা বিএনপি নেতারা।
নাটোরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে এবং পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরের কিছু আগে নাটোর সদর উপজেলার কানাইখালী মিনি স্টেডিয়াম চত্বরে।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ প্রায় ১০ জন নেতা স্টেডিয়ামে এসে প্রধান অতিথির সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা ও ভিড়ের অজুহাতে তাদের প্রবেশে বাধা দেয়।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা বিএনপি নেতারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। পরে তারা সংবাদ সম্মেলন ডেকে অভিযোগ করেন, প্রশাসনের উপস্থিতিতে এবং নিজেদের পরিচয় দেওয়ার পরও তাদের প্রধান অতিথির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি ছিল একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও অসম্মানজনক আচরণ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এ ঘটনার জেরে জেলা বিএনপির নেতারা শুধু মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধনই নয়, বরং সেদিন নির্ধারিত জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সজীব ভূঁইয়ার আলোচনাসভা এবং নাটোর সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এলজিইডির বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানও বর্জন করেন।
এদিকে, মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন শেষে বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, শুধু স্টেডিয়াম নির্মাণ করলেই দায়িত্ব শেষ নয়, এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনকে মাদকমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর করতে খেলাধুলার আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও জানান, সারা দেশে প্রায় ১৫০টি মিনি স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হয়েছে এবং অবশিষ্ট উপজেলাগুলোতেও দ্রুত কাজ শুরু হবে।
তিনি ক্রীড়া সংগঠক, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে আহ্বান জানান যাতে মিনি স্টেডিয়ামগুলো শুধুমাত্র খেলাধুলার জন্য ব্যবহার হয় এবং এখান থেকে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুর-উল-আলম, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল হায়াত এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, "অতিথির তুলনায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় নিরাপত্তা ও অনুষ্ঠান পরিচালনার স্বার্থে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। এখানে কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্য ছিল না। বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ করছি।