ঠাকুরগাঁও জেলার খোশবাজার এলাকায় আজ সকালে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন নবম শ্রেণির ছাত্রী রুবাইয়া খাতুন (১৫) ও তার বাবা আশরাফুল ইসলাম (৫২)। স্থানীয় সময় সকাল ৮ টার দিকে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে, যখন একটি দ্রুতগামী বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।
এই দুর্ঘটনার ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় একজন বাসিন্দা অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে জানান, "বাবা-মেয়ের এমন মৃত্যু খুব কষ্টদায়ক। আমরা আর কখনো এমন মৃত্যু দেখতে চাই না।"
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়, তবে সেখানে পৌঁছানোর আগেই তাদের মৃত্যু ঘটে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটায়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকায় সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাসড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত পুলিশি টহল বাড়াতে হবে। এছাড়া, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আরো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
রুবাইয়া খাতুন ছিলেন স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, "রুবাইয়া ছিল আমাদের বিদ্যালয়ের অন্যতম সেরা মেধাবী ছাত্রী। তার মৃত্যু আমাদের সকলকে শোকাহত করেছে।"
এই দুর্ঘটনার পেছনে বাস চালকের অবহেলার অভিযোগ উঠেছে এবং পুলিশ তাকে আটক করেছে। তবে, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ণয়ে তদন্ত চলছে। এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছে এবং তাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার এই প্রবণতা রোধে সরকার ও সমাজের প্রতিটি স্তরের উদ্যোগ প্রয়োজন। যানবাহন চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, সড়কের মান উন্নয়ন এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কঠোরতা বৃদ্ধি করা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।