অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে গঠিত ঘনিমহেষপুর জনকল্যাণ বহুমুখী কৃষি সমবায় সমিতি নামীয়
একটি সংগঠন গড়ে উঠে। উক্ত সমিতির নামে খোষ কবলা দলিল মূলে ২০ একর জমি ক্রয় করে এবং দীর্ঘদিন ধরে বৈধভাবে খাজনা পরিশোধ করে ভোগদখল করে আসছে। সমিতির উদ্যোগে উক্ত জমির মধ্যে প্রায় ৮ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়। কিন্তু ১৯ মে (রবিবার) সকালে সমিতির সদস্যরা মাঠে গিয়ে দেখতে পান, তাদের ভুট্টা ক্ষেতের গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। এ ঘটনায় সমিতির সভাপতি নিকোলাস দাস বাদী হয়ে রুহিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, হৃদয় দাস ও উত্তম দাস নামক দুই ব্যক্তি পূর্বশত্রুতার জেরে এই ধ্বংসাত্মক কাজটি সংগঠিত করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এতে করে সমিতির প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘনিমহেষপুর জনকল্যাণ বহুমুখী কৃষি সমবায় সমিতির এক সদস্য বলেন, “আমরা সকল সদস্য মিলে পরিশ্রম করে জমি চাষ করি এবং ভুট্টা লাগাই। যারা এভাবে আমাদের শস্য ধ্বংস করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং মাঠে গিয়ে যা দেখেছি তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি জেলা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছি। রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।