ব্রিটিশ সাপ্তাহিক দ্য উইক-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে একটি কাভার স্টোরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দল ভাঙার সরকারি চেষ্টার মধ্যেও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং তাঁর জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। প্রতিবেদনে তাকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে উল্লেখ করা হয়।
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করলেও ভার্চুয়ালি দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তারেক। বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানান, তিনি ইতোমধ্যেই একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করেছেন—যার লক্ষ্য জ্ঞানভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত এবং উন্নয়নমুখী রাজনীতি।
তার উপদেষ্টা, বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার বলেন, “চাকরি, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনে তারেক রহমানের দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের পথ দেখাচ্ছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ বিন আলী প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, “নির্বাসনে পাঠানো ও নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি নেওয়া ছিল তার মৌলিক অধিকার হরণ। তবুও তিনি বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
দলীয় সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বিএনপি চায় আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানকে দলের মূল নেতৃত্ব হিসেবে তুলে ধরতে এবং তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে।
২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে নির্বাসিত হন তারেক রহমান। এরপর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলের হাল ধরেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাঁর প্রত্যাবর্তন হতে পারে একটি 'পূর্ণচক্র সম্পন্ন করা' মুহূর্ত—যা তাঁকে সরাসরি দেশের নেতৃত্বের মুখপাত্রে পরিণত করতে পারে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ
রুদ্র বিশ্বাস।