close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

তারেক রহমান কেন টার্গেট

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Just like during the 2007 emergency, Tareque Rahman is once again the target of smear campaigns. Is his rising popularity as a nationalist leader the reason behind this new wave of attacks?

২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার সময় যেমনভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়েছিল, ঠিক তেমনই আজও চলছে চরিত্রহননের ধারাবাহিক চক্রান্ত। কেন তিনি আবার টার্গেটে?

১৮ বছর আগে লিখিত একটি নিবন্ধ আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সেই সময়টায় দেশ ছিল জরুরি অবস্থার অধীন, ফখরুদ্দীন-মঈন উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক শাসনে। সেসময় পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলছিল একটি সুসংগঠিত প্রচারণা। তারেক রহমানকে 'ভিলেন' বানানোর এই পরিকল্পনা তখন দেশবাসীকে বিস্মিত করলেও, কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। যারা মুখ খুলত, তারা ‘বিশেষ জায়গা’ থেকে ‘চায়ের দাওয়াত’ পেত। সে চায়ের স্বাদ কেবল যারা পান করেছে, তারাই জানে।

২০০৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত সেই নিবন্ধে বলা হয়েছিল—বাংলাদেশের ইতিহাসে যেসব নেতা সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে আপসহীন ছিলেন, তারাই হয়ে উঠেছেন ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেট। তারেক রহমানও সেই পথেই হাঁটছেন, তাই তাকে বারবার করা হচ্ছে আক্রমণের লক্ষ্য।

২০২৪ সালে এসে আবারও গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে ‘টার্গেট তারেক রহমান’। বিশেষ করে ১৫ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত এক প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারেক রহমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা তাঁকে করেছে জনআস্থার প্রতীক। এ জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরে একটি 'বিশেষ মহল' আবারও তাকে টার্গেট করেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চলছে পরিকল্পিত চরিত্রহনন।”

কে বা কারা এই ‘বিশেষ মহল’? সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট যে, যারা রাষ্ট্রক্ষমতার পথে তারেক রহমানকে প্রতিবন্ধক মনে করছে, তারাই এই কৌশলের নেপথ্যে।

তারেক রহমান আগেও ছিলেন সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের শিকার। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আন্তর্জাতিক শক্তির ছায়ায় চলা অপপ্রচারে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল একটাই—বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বকে দুর্বল করে ফেলা। আজও একই চিত্র।

বিশ্ব ইতিহাসে দেখা যায়, যেসব জাতীয়তাবাদী নেতা তৃতীয় বিশ্বের দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন, আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদী শক্তি তখনই তাদের চরিত্রহননের কৌশল নেয়। যেমনটা হয়েছিল জিয়াউর রহমানের ক্ষেত্রেও। তিনি বলেছিলেন, “বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, কিন্তু কোনো প্রভু নেই।” এই জাতীয় অবস্থানই তাকে করে তুলেছিল টার্গেট।

তারেক রহমান এখন সেই জাতীয়তাবাদের উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০০১ সালের নির্বাচন প্রচারণায় তাঁর ভূমিকায় বিএনপি জোটের ভূমিধস বিজয়ের পেছনে ছিল একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক কৌশল। এরপর তিনি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করেন। বুঝে নেওয়া যায়, বেগম খালেদা জিয়ার পর দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তারেক রহমানের হাতেই।

এ কারণে আজও তাকে থামিয়ে দিতে মরিয়া একটি মহল। এই অপচেষ্টা শুধু রাজনীতির ময়দানে নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রচারমাধ্যম এবং মঞ্চেও ছড়িয়ে পড়েছে।

যেকোনো রাজনৈতিক নেতার মতো তারেক রহমানও ভুল করেছেন। আমজনতা কিংবা সাংবাদিকরা সেই ভুলের সমালোচনা করতে পারেন, করাও উচিত। কিন্তু রাজপথে যে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে, তা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। এভাবে একজন জাতীয় নেতাকে অপমান করা, দেশের রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত।

তারেক রহমান শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সন্তান। একজন মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরি এবং জাতীয়তাবাদের প্রতীক। যারা বাংলাদেশের ইতিহাস, জাতীয় সংগীত বা পরিচিতি পাল্টে দিতে চায়, তারা জানে—তারেক রহমানই তাদের প্রধান বাধা। তিনি জাতীয়তাবাদের পতাকা হাতে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাই তাকে সরাতে চায় ‘বিশেষ মহল’।

২০০২ সালে চীন সফরের সময় চীনা প্রেসিডেন্ট ঝাও জিয়াং তাকে বলেছিলেন, “তোমার হাতে দুটি পতাকা—একটি বাবার, একটি মায়ের। এ দুটোকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করো।” আজ সেই পতাকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেকটি—জাতীয়তাবাদের পতাকা। এ পতাকা যতক্ষণ তারেক রহমানের হাতে থাকবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ততক্ষণ অক্ষুণ্ণ থাকবে।

No comments found