শনিবার ভোর ৫টায় তারা মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে।
‘জয়ের লড়াই’—এই ট্যাগলাইনকে সত্যি করে দেখাচ্ছে রংপুর। এবারের জিএসএলে যেন তারা নেমেছে একটাই লক্ষ্য নিয়ে—প্রতিটা ম্যাচ জয়। মাঠের পারফরম্যান্স আর ভাগ্য দুটোই তাদের পাশে ছিল এই পর্যন্ত। এক ম্যাচে ১ রানের, আরেক ম্যাচে ৮ রানের জয়—প্রতিটা জয় এসেছে টানটান উত্তেজনায়। শেষ ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলেও গ্রুপপর্ব শেষে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে শীর্ষে রয়েছে রাইডার্স।
গেল আসরে বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি দল হিসেবে শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়েছিল রংপুর। এবার সেই কীর্তিকে ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় ওঠার লক্ষ্য তাদের সামনে। তবে ফাইনালের প্রতিপক্ষ সহজ নয়। গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী ও তারকাসমৃদ্ধ দল। তাদের একমাত্র হারই এসেছে রংপুরের বিপক্ষে। প্রথম আসরে ফাইনালে হেরে যাওয়ার আক্ষেপ এবার ঘোচাতে মরিয়া ইমরান তাহিরের দল।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, মঈন আলী, শিমরন হেটমায়ার, শেরফান রাদারফোর্ডদের মতো টি-টোয়েন্টির তারকাদের নিয়ে সাজানো গায়ানার স্কোয়াড বেশ ভয়ঙ্কর। সঙ্গে রয়েছে স্বাগতিক মাঠের সুবিধা ও গ্যালারিভর্তি সমর্থন।
তবে রংপুরও প্রস্তুত। ফর্মে থাকা কাইল মায়ার্স ৩ ম্যাচে করেছেন সর্বোচ্চ ১৩০ রান, স্ট্রাইক রেট ১৫০’র ওপরে। অভিজ্ঞ ইফতিখার আহমেদও ভরসা জোগাচ্ছেন ব্যাট হাতে—৮৪ রান, স্ট্রাইক রেট ১৩৫। কিন্তু রাইডার্সের সবচেয়ে বড় শক্তি বোলিং আক্রমণ। পেসার খালেদ আহমেদ ৩ ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন ১০ উইকেট। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ইফতিখারও বল হাতে সময়মতো এনে দিয়েছেন ব্রেক থ্রু।
রংপুরের সাফল্যের পেছনে আলাদা করে কোনো তারকার ঝলক নয়, বরং দলগত প্রচেষ্টাই মূল শক্তি। এবার সেই সমন্বিত শক্তিতে গায়ানার বিপক্ষেও জয়ের হাসি ফুটিয়ে আরেকটি ট্রফি ঘরে তুলতে চায় রাইডার্স