close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

তালার কানাইদিয়ায় চলছে ভ্রাম্যমাণ মাদক বাণিজ্য, দুশ্চিন্তায় সচেতন অভিভাবক মহল..

এস এম তাজুল হাসান সাদ avatar   
এস এম তাজুল হাসান সাদ
****

তালার কানাইদিয়ায় চলছে ভ্রাম্যমাণ মাদক বাণিজ্য, দুশ্চিন্তায় সচেতন অভিভাবক মহল


সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কানাইদিয়া-রথখোলা অঞ্চলে গোপনে ও ভিন্ন কৌশলে চলছে ভ্রাম্যমাণ মাদক বাণিজ্য ও অনলাইন জুয়ার রমরমা ব্যবসা। মোটরসাইকেলযোগে নির্দিষ্ট স্থানে মাদক পৌঁছে দেওয়ার এই পদ্ধতিতে পুরো জনপদের যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় চরম উদ্বেগে পড়েছে এলাকার সচেতন অভিভাবক মহল।

স্থানীয়দের ভাষ্য, শুরুতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে নানা প্রলোভন ও কৌশলে মাদক ও জুয়ার জগতে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তঘেঁষা কানাইদিয়া-রথখোলা অঞ্চলে প্রশাসনের নজরদারি তুলনামূলকভাবে কম থাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট। এলাকাটিতে একাধিক খেয়াঘাট থাকায় এসব ঘাট ব্যবহার করেই ব্যবসায়ীরা বাইকযোগে মরণনেশা ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ সরবরাহ করছে বলে জানা গেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, এই চক্রের সঙ্গে সীমান্তবর্তী পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির কয়েকজন ব্যবসায়ীও জড়িত, যাদের অনেকের কপিলমুনিতে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে তাদের পক্ষে ব্যবসা পরিচালনা সহজ হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টালে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর নামও উঠে আসে। অভিযোগ রয়েছে, কানাইদিয়া গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি কমল দত্তের ছেলে জয় দত্ত এই চক্রের অন্যতম নেতা। বাবার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে জয় এলাকায় একটি মাদকের 'স্বর্গরাজ্য' গড়ে তুলেছে। স্থানীয়দের মতে, সে নিজেও একজন নিয়মিত মাদকসেবী এবং কারও তোয়াক্কা না করেই প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও জানা যায়, জয় দত্তের সহযোগী প্রীতম হালদার ওরফে কাম্য নামে এক যুবক সিন্ডিকেটটি নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া স্থানীয় এক সেলুন কর্মী এবং মোটরসাইকেল চালকও এই কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে। মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে মাদক অর্ডার করলে নির্দিষ্ট স্থানে তা পৌঁছে দেওয়া হয়।

সচেতন মহলের অভিযোগ, এই সিন্ডিকেটটি প্রশাসনের কিছু 'ম্যানেজড' ব্যক্তি ও অদৃশ্য শক্তির সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। হাত বাড়ালেই মিলছে গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিলসহ হরেক রকমের মাদক। ফলে যুবসমাজ বিপথে যাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে পড়ছে আগামী প্রজন্ম।

এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের নির্দেশে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং এ ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

সচেতন মহল মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপকর্ম বন্ধ করা সম্ভব হয়।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি