তালা উপজেলায় সমবায় কর্মকর্তার বদলি নিয়ে সমবায়ীদের ক্ষোভ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
তালা উপজেলার সমবায় সহকারী পরিদর্শক অজয় কুমার ঘোষের বদলি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক অজয় কুমার ঘোষকে সাম্প্রতিক সময়ে অন্যায়ভাবে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বদলির কারণে তালা উপজেলার সমবায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। 

সমবায়ীরা দাবী করছেন যে, অজয় কুমার ঘোষ একজন কর্মঠ, দক্ষ এবং প্রতিভাবান অফিসার। তাঁর নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন এবং বিপদে সমবায়ীদের পাশে থাকার কারণে তিনি সমবায়ীদের মধ্যে একজন জনপ্রিয় কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তার কর্মক্ষমতা ও দক্ষতার ফলেই সমবায় বিভাগ উপজেলায় একটি সুদৃশ্য ওয়াশরুমসহ চারটি অফিস কক্ষ লাভ করেছে এবং অফিস ডেকরেশনের মাধ্যমে উপজেলায় দ্বিতীয় সুন্দর অফিস হিসেবে সুসজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়া, তিনি অফিসের সামনের একটি ফুলের বাগান তৈরির জন্য জায়গায় ইটের প্রাচীর দিয়ে সজ্জিত করেছেন। 

অজয় কুমার ঘোষের বদলি আদেশ আসে যখন তিনি পাইকগাছা উপজেলা হতে তালা উপজেলায় যোগদানের পর দুই বছর পূর্ণ হয়নি। সরকারি কর্মচারী (বদলি) বিধিমালা ২০১৯ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন তার বদলি করা যায় না, কিন্তু এই বিধিমালাকে উপেক্ষা করে হাসপাতালে অপারেশনের জন্য ভর্তি থাকা অবস্থায় তাঁকে বদলি করা হয়েছে। 

তালা উপজেলার বিশিষ্ট সমবায়ীরা যেমন দিবস চন্দ্র ঘোষ, প্রশান্ত কুমার ঘোষ, শেখ রহমত আলী, ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপী, সামছুল হক ও পিন্টু কুমার ঘোষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, এবং তারা মনে করছেন যে বিভাগীয় যুগ্ম নিবন্ধককে ভুল বুঝিয়ে এই কাজটি করা হয়েছে। তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, অজয় কুমার ঘোষকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হবে। 

উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম এক সাক্ষাৎকারে জানান, "অজয় একজন দক্ষ কর্মচারী এবং ভালো সংগঠক। তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে চাকুরি জীবনে বদলি একটি চলমান প্রক্রিয়া।" 

অজয় কুমার ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বদলি চাকুরি জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, কিন্তু হাসপাতালে অপারেশন বেডে যখন আমি যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিলাম, অন্যদিকে আমার মেয়ের এইচএসসি পরীক্ষা চলমান এবং আমার বৃদ্ধ পিতা-মাতা অসুস্থ অবস্থায় আমাকে বদলি করায় আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছিলো।" 

তিনি আরো বলেন যে, "উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আমার বিষয়টি জেনেছেন এবং আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে আমি অচিরেই ন্যায়বিচার পাব।" 

তালা উপজেলার সমবায়ী সহ গণমানুষের যৌক্তিক দাবী অচিরেই সমবায় বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির যৌক্তিক সমাধান করবেন বলে সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি