close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ের দিকে বন্যপ্রাণী

ম.ম.রবি ডাকুয়া avatar   
ম.ম.রবি ডাকুয়া
মোংলা প্রতিনিধিঃ

সম্প্রতি হঠাৎ করে হরহামেসা লোকালয়ে দেখা যাচ্ছে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর। কিন্তু কেন? কখনও হরিণ, কখনও বানর আবার বনের রাজা বাঘের দেখাও মিলছে।..

এসব প্রাণীরা যখন লোকালয়ে ঘোরাফেরা করছে তা দেখে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। তবে এনিয়ে বন বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। তারা বলছেন বাঘের তাড়া খেয়ে এবং এক প্রকার পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য তারা বন ছেড়ে লোকালয়ে ছুটে যাচ্ছেন। তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, মূলত প্রাণীদের আবাস্থল সংকট এবং খাদ্যের অভাবেই বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে।

সর্বশেষ গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে পূর্ব সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পর্যটন স্পটের ফুট টেইলরে (কাঠের তৈরি পায়ে হাঁটার পথ) ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় একটি বাঘকে। তবে এসময় ওই ফুট টেইলরে পর্যটকরা না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা হয়। এ প্রসঙ্গে হারবাড়িয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমজান আলী কানন জানান, প্রথমে ফুট টেইলরের (কাঠের তৈরি পায়ে হাঁটার পথ) ওপর একটি বাঘকে ঘোরাফেরা করতে দেখন বন প্রহরীরা। এরপর তারা হাঁকডাক দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাঘটি ফুট টেইলর থেকে নেমে বনের গহীনে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, আগে থেকে বনের হারবাড়িয়া অংশে বাঘের অবাধ বিচরণ রয়েছে। হারবাড়িয়া দিঘির পাড়ে প্রায় দেখা যায়। কিন্তু এবার ফুট টেইলরে ওঠে পড়ায় কিছুটা ভীতি কাজ করেছে। তবে এসময় পর্যটকরা না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা হয়েছে।

এর আগে মোংলা উপজেলার বৌদ্ধমারী এলাকা থেকে বন থেকে ছুটে আসা দুটি হরিণকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে বনরক্ষীরা খবর পেয়ে হরিণ দুটি নিয়ে এসে বনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ছেড়ে দেয়। আর বানরতো মোংলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দু’একদিন পর পর দেখা যায়।

স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে একটি বানর তাদের সিগনাল টাওয়ার এলাকায় ও মিঠাখালি এলাকায় অপর একটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। এরকম কয়েকটি বানর মোংলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর খবর পাওয়া গেছে।

এমনকি অজগরকেও বিভিন্ন সময়ে লোকালয় থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে হরহামেশা। কোন কারনে বনের নিরীহ ও হিংস্র এসব প্রাণীকুল কেন লোকালয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছেে। তবেকি আশ্রের খোঁজে নাকি খাবারের খোঁজে তার সঠিক চিহ্নিত করে এর সঠিক কারন নির্ধারণ করা সহ এর প্রতিকারে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশবিদদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি। তা না হলে অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হতে থাকবে তাদের ধারনা।

コメントがありません


News Card Generator