ইফতিয়াজ সুমন, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
তিন বারের (সাবেক) প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া'র উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সফল করতে পাবেল চৌধুরী'কে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় হাওর পাড়ের দুই উপজেলার জনগণ।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা) আসনের আগামী নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যস্ত প্রার্থীরা। যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে প্রার্থীদের তৎপরতা। কে হবেন ধানের শীর্ষের প্রার্থী?এ প্রশ্ন এখন শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে। আলোচনার ঝড় উঠেছে চায়ের স্টল থেকে আড্ডাস্থল গুলোতে। কেউবা দলের হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগ করছেন, কেউবা মাঠ দখলে চালাচ্ছেন গণসংযোগ।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন সর্বশেষ বিএনপি অংশগ্রহন করা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ আসনে মূল প্রার্থীর পাশাপাশি আরেকটি দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল। দিরাই উপজেলা বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বার বার নির্বাচিত সভাপতি মরহুম আব্দুস শহীদ চৌধুরী'র জৈষ্ঠ সন্তান দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। পরবর্তীতে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সহ দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুনামগঞ্জ-২(দিরাই ও শাল্লা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এসময় তিনি তুলে ধরেন তার রাজনৈতিক, পারিবারিক ও বিগত দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক কার্যক্রমের নানা চিত্র। ছাত্রদল থেকে বিএনপির ,অত্যন্ত সততার সাথে সকল দায়িত্ব পালন করায় রাজনীতি জিবনেই হয়ে উঠেন প্রশংসনীয়। তিনি বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ন পদে ছিলেন। নিরলস পরিশ্রম আর নিজের সততায় গড়ে উঠে তাঁর সুসংগঠিত ক্যারিয়ার। উল্লেখযোগ্য রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করেন, বিশেষ করে গত ৬/৭ বছর আওয়ামী বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব,করোনা বন্যা সহ সকল দুর্যোগে দিরাই শাল্লার মানুষের পাশে থাকায় তৃণমূল থেকে সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে হয়ে উঠেন প্রিয় মানুষ।
এলাকায় সাদা মনের ক্লিন ইমেজ হিসেবে পরিচিত এই প্রার্থী অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি এবং বিগত কয়েক বছর ধরে এই আসনের দূর্যোগ সহ বিভিন্ন সংকটময় পরিস্তিতিতে আমি আমার সবটুকু দিয়ে ছিলাম, শীতবস্ত্র, ঈদ বস্ত্র, ইফতার সামগ্রী, প্রাদুর্যোগ দুর্যোগে জরুরী ত্রাণ, নগদ অর্থ সহ, কন্যা দায়গ্রস্ত পরিবারের দায়িত্ব সহ অসংখ্য উন্নয়ন মুলক কাজ করে আসছি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শ ধারণ ও লালন করেছি, জাতীয়তাবাদী পরিবারের সন্তান হিসেবে আমৃত্যু দলের জন্য কাজ করে যাব। দীর্ঘ সতের বছর দেশের জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দ্রুত নির্বাচন চায় দেশের জনগণ, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের টালবাহানা বরদাশত করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিকূল মূহুর্তেও ফ্যাসিস্টের সাথে আপোষ করেন নি, জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জেল খেটেছেন তবুও আপোষ করেন নি। দেশের জনগণের ভরসার জায়গা আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
দলের দুঃসময়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এদেশের আটার কোটি মানুষের নেতা তারেক রহমান দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সুসংগঠিত রেখেছেন। তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন। তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিলে সুনামগঞ্জ-২ সংসদীয় আসনটি শিক্ষা-সাংস্কৃতি-ক্রীড়া কার্যক্রমসহ এলাকার যুব ও শিক্ষিত সমাজ কে দেশের বিভিন্ন স্তরে কাজে লাগিয়ে এই এলাকার জীমনমান উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। দিরাই ও শাল্লা উপজেলাকে মাদক, সন্ত্রাস ও দূর্নীতি মুক্ত করে হাওরপাড়ে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।