সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, উক্ত বিমান দারফুরের র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) নিয়ন্ত্রণাধীন বিমানবন্দরে অবতরণ করছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানী সেনাবাহিনী আরএসএফের সাথে চলমান সংঘর্ষের অংশ হিসেবে দারফুরে ব্যাপকভাবে এ ধরনের বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি ধ্বংস হওয়ার ফলে প্রচুর প্রাণহানি ঘটেছে। যদিও আরএসএফের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই ঘটনার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এক সামরিক সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানানো হয়েছে, ‘নায়ালা বিমানবন্দরে বোমা হামলায় আমিরাতের বিমান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে।’ এই হামলার ফলে নিহত ও আহতদের নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও নিশ্চিত নয়।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা এখনো জানার চেষ্টা করছি কতজন কলম্বিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য তাদের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা এবং পরিবারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা।”
সুদানের চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং আরএসএফ ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনার ফলে দারফুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সামরিক ও বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংকট সমাধানে নিরন্তর আহ্বান জানিয়ে আসছে।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দারফুরে এই ধরনের বিমান হামলা সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলবে এবং এ থেকে দ্রুত মুক্তির পথ কঠিন হয়ে পড়বে। সুদানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সহায়তা অত্যাবশ্যক বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: আল জাজিরা, এএফপি