সরকারি সফরে চীন গেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি চীনের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবেন।
সরকারি সফরে চীনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেনাপ্রধানের এই সফর মূলত বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে। সফরকালে তিনি চীনের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আলোচনায় প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, প্রযুক্তি বিনিময় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও চীন বহুদিন ধরেই প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা করে আসছে। বিশেষ করে সামরিক প্রশিক্ষণ, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের এই সফর দুই দেশের সামরিক কূটনীতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এছাড়া, বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে চীনের ভূমিকা এবং যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণের বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ও অবদানের ক্ষেত্রে চীনকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে যুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমানে আধুনিকীকরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। “ফোর্সেস গোল-২০৩০” বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এই সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সামরিক প্রযুক্তি বিনিময় এবং প্রশিক্ষণ বিনিময়ের নতুন দ্বার উন্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আগামী ২৭ আগস্ট দেশে ফিরবেন বলে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ সফর শুধু প্রতিরক্ষা খাতেই নয়, সামগ্রিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, শান্তি রক্ষা কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে এই সফরকে তারা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন।