সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ায় সাতক্ষীরায় মানববন্ধন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ায় সাতক্ষীরায় মানববন্ধন হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা :

সাতক্ষীরার তালায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ (বিকপ) আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার প্রতিবাদ জানানো হয়। 

২০২৫ সালের ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত এক পরিপত্রে কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার (৩০ জুলাই ২০২৫) সকাল ১১টায় তালা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা বিকপ সভাপতি আব্দুল হালিম এবং সঞ্চালনা করেন শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিকপ-এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন, দীলিপ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান, শিক্ষক আব্দুর জলিলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

বক্তারা এই সিদ্ধান্তকে চরম বৈষম্য ও অমানবিক বলে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেন, "সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া চরম বৈষম্য ও অমানবিক সিদ্ধান্ত। এতে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভাজন সৃষ্টি হবে এবং হাজার হাজার শিক্ষার্থী ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।"

মানববন্ধনে তালা উপজেলার ২৭টি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা অবিলম্বে বিতর্কিত পরিপত্রটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এবং দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। 

এই সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে এবং কেন এটি বিতর্কিত তা নিয়ে বিশ্লেষণ করা দরকার। প্রাথমিক শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত শিক্ষার মান উন্নয়নের বদলে আরও বেশি বৈষম্য তৈরি করে।

সামাজিক প্রেক্ষাপটে, অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের কিন্ডারগার্টেনের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য বিনিয়োগ করেন, কারণ তারা বিশ্বাস করেন এটি তাদের সন্তানের শিক্ষা উন্নয়নে সহায়ক। কিন্তু বর্তমান সিদ্ধান্ত তাদের প্রত্যাশায় বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে।

এটি সরকারের শিক্ষানীতি এবং আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে কিভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ স্বার্থে একটি সমাধান খুঁজে বের করা।

সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন, সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।

Keine Kommentare gefunden