কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝাউবন, শৈবাল পয়েন্ট, কবিতা চত্বরের আশপাশে বসানো ছিলো বেশ কয়েকটি কিটকট চেয়ার। সৈকতের অন্যান্য পয়েন্টের মতো বালিয়াড়িতে চেয়ার বসানোর কথা থাকলেও এসব পয়েন্টে চেয়ার বসানো ছিলো ঝাউ বাগানের ভেতর। মানুষের চক্ষু আড়াল করতেই কিছু অসাধু চক্র চেয়ার গুলো ঝোপঝাড়ের মধ্যে পেতে রেখেছিল। তবে শেষ রক্ষা হলো না!
মূলত এসব চেয়ারের চারপাশে ছাতা দিয়ে আচ্ছাদিত করে রাখে তারা। অনেক তরুণ তরুণীরা এখানে সময় পার করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন বলে জানা যায়।
অবাধ মেলামেশা, স্কুল কলেজ ফাকি দিয়ে আড্ডা ও মাদক সেবন করার মতো ভয়ানক কাজ হতো এই এলাকার এসব কিটকট চেয়ারে।
গতকাল সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালায় ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপদ রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রতিনিয়ত অভিযানের অংশ হিসাবে সৈকতে ঝাউবাগানে এই অভিযান পরিচলনা করছে । কক্সবাজার একটি পর্যটনস্পট, এখানে পর্যটক এসে সুন্দরভাবে সমুদ্র উপভোগ করবে। এখানে কেউ যদি চিপায়চাপায় বসে নিজের মত করে অবৈধ স্থাপনা তৈরী করে। বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে কেউ যদি মাদকসেবন, অসামাজিক কার্যকলাপ বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আস্তানা বানাতে চায় তাহলে সে যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে টুরিস্ট পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিটকট চেয়ার বসানো সিন্ডিকেট যে হোক না কেন টুরিস্ট পুলিশ এসব কেয়ার করে না। যত ধরণের সিন্ডিকেট আছে সেটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ভেঙ্গে দিবে।কক্সবাজার হবে সিন্ডিকেট মুক্ত সুন্দর পর্যটন নগরী।’