সোহাগ হত্যাকাণ্ড: জামায়াতের সহানুভূতি ও ন্যায়বিচারের দাবি..

Sumon Hawlader avatar   
Sumon Hawlader
ঢাকার তরুণ ব্যবসায়ী সোহাগের হত্যাকাণ্ডের পর জামায়াতের বরগুনা জেলা নেতৃবৃন্দ তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।..

সুমন হাওলাদারঃ

ঢাকার তরুণ ব্যবসায়ী সোহাগের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এগিয়ে এসেছেন। সোহাগের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারের সাথে দেখা করতে গতকাল ১২ জুলাই শনিবার একটি প্রতিনিধি দল বরগুনার প্রত্যন্ত গ্রামে উপস্থিত হন।

জেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলটি সোহাগের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। সোহাগের শিশুপুত্রকে বুকে জড়িয়ে ধরার মুহূর্তটি উপস্থিত সকলের মনে আবেগের সঞ্চার করে। নেতারা সোহাগের স্ত্রী, মা এবং অন্যান্য স্বজনদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের কষ্ট ও নিরাপত্তাহীনতার কথা শোনেন।

জামায়াতের বরগুনা জেলা আমীর মহিবুল্লাহ হারুন বলেন, "সোহাগ শুধু একজন ব্যবসায়ী ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দায়িত্ববান এবং আদর্শবান যুবক। এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ড শুধু ব্যক্তিকেই আঘাত করে না—এটি গোটা সমাজের বিবেককে নাড়া দেয়। আমরা এই বর্বর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার পরিবারের পাশে থাকব—এটাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।"

জামায়াতের পক্ষ থেকে ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার করা হয়। জেলা নেতৃবৃন্দ সোহাগের পরিবারের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। তারা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে সামাজিক আন্দোলনের অংশীদার হওয়ার প্রত্যয় জানান।

সফরের শেষাংশে নেতৃবৃন্দ সোহাগের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এই সফরের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামী সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি বার্তা দিতে চেয়েছে বলে তারা জানান—"যেখানে নির্যাতিত মানুষ, সেখানেই আমাদের অবস্থান।"

এই ঘটনাটি বাংলাদেশে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। সোহাগের হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা কারণগুলো খুঁজে বের করা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ন্যায়বিচারের দাবি তুলছে।

জামায়াতে ইসলামী বরগুনা জেলার এই পদক্ষেপটি সমাজে সহানুভূতি ও মানবিকতার এক বিশেষ উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি শুধু সোহাগের পরিবারের জন্য নয়, বরং সমাজের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে যে মানবিকতা ও সহানুভূতি এখনও জীবিত আছে।

সোহাগের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার ও সমাজের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশায় রয়েছে। এরকম ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সকলেরই সচেতন হওয়া জরুরি।

Nessun commento trovato