close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন নয়: আখতার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Akhtar Hossain, Member Secretary of NCP, declared that no national election can be held without constitutional reform. He demanded a Constituent Assembly election to implement a new constitution.

জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, সংবিধান সংশোধন ও বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। তিনি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও জোরালোভাবে উঠে এসেছে সংস্কারের দাবি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সংবিধান সংশোধন ও বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। তার মতে, জনগণের নতুন রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সময় এসেছে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান বাস্তবায়নের।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আখতার হোসেন বলেন, “আমরা চাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন হোক। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে তবেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। কিন্তু অনেকেই শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলছে। এ বিষয়ে সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে যথাসময়ে গণপরিষদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যায়।”

তিনি আরো বলেন, “যেকোনো সমাজে জনগণের আকাঙ্ক্ষা যখন পরিবর্তিত হয় এবং নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীর উত্থান ঘটে, তখন গণপরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে এখন নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। আমরা অনেক আগেই এই দাবি জানিয়েছি। সরকার যদি গণপরিষদ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়, এনসিপি সেটিকে স্বাগত জানাবে।”

আখতার হোসেনের মতে, দেশের বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও সামগ্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, “সংবিধান, বিচার বিভাগ ও প্রশাসন—প্রত্যেক জায়গায় সংস্কারের প্রয়োজন নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। এসব দাবির প্রতি জনগণ ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। এই কারণেই এনসিপি মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে এবং স্বল্প সময়ে দেশজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।”

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “সরকার যে সময়সীমা দিয়েছে, সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে তার আগে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন আনতে হবে, মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে এবং একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সরকার যত দ্রুত এসব পদক্ষেপ নেবে, নির্বাচন তত দ্রুত সম্ভব হবে, অন্যথায় নয়।”

এসময় আখতার হোসেনের সঙ্গে ছিলেন এনসিপির মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর নয়ন, জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এন আই সুমনসহ জেলা ও মহানগরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা সবাই মিলে দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের পক্ষে জনগণের সমর্থন আদায়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনসিপি যে বক্তব্য সামনে এনেছে, তা বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতিকে নতুন মোড় দিতে পারে। কারণ একদিকে সরকার সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নতুন সংবিধান ও সংস্কারের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে। ফলে আগামী দিনে রাজনৈতিক সমীকরণ কোন পথে যাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

No comments found