কক্সবাজারে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানো সাংবাদিক আবির এখন নিজেই এক গভীর সংকটে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করতে গিয়ে তিনি পড়েছেন মাদকচক্রের রোষানলে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য—কিন্তু সেই সত্য প্রকাশের আগেই তাকে থামিয়ে দিতে শুরু হয়েছে মামলা, হুমকি ও ভয়ভীতি।
কী নিয়ে কাজ করছিলেন আবির?
আবির গত কয়েক মাস ধরে কক্সবাজারে সক্রিয় একটি মাদক সিন্ডিকেটের গতিবিধি নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন। তার প্রতিবেদনের মূল বিষয় ছিল—
সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চলে মাদকের প্রবেশ ও ছড়িয়ে পড়ার পথ
প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্যের সম্পৃক্ততা
নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা কারবারিদের নাম
হুমকি আসতে থাকে একের পর এক
যখন আবিরের অনুসন্ধান চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন থেকেই তাকে নানা ভাবে ভয় দেখানো শুরু হয়।
অচেনা নাম্বার থেকে ফোন করে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি
এলাকায় ‘চাঁদাবাজ’, ‘উসকানিদাতা’ ইত্যাদি অপবাদ ছড়ানো
সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা প্রচারণামিথ্যা
মামলার ভয়
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মাদকচক্রের নির্দেশেই একাধিক ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে যাতে আবিরকে আইনি হয়রানির মাধ্যমে চুপ করিয়ে দেওয়া যায়। এই ষড়যন্ত্র শুধু একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নয়, এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত।
একজন সাংবাদিক যখন সত্য উদঘাটনের পথে হাঁটে, তখন তার কলমই সবচেয়ে বড় শক্তি। আর সেই কলম থামিয়ে দিতে যখন অপরাধীরা মামলা ও হুমকির আশ্রয় নেয়, তখন সমাজের সকল সচেতন মানুষের উচিত সে কলমের পাশে দাঁড়ানো।
আবির একা নয়—আমরাও তার পাশে আছি।